পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঙ্গরাজ্যের রাওয়ালপিন্ডি শহরের বিখ্যাত ইসলামিক স্থান ‘ঈদগা শরিফ’ এর বর্তমান তত্বাবধায়ক পীর হাসান নাকিবুর রেহমান বলেছেন, মুসলিমদের একতা এখন সময়ের দাবী, অন্যদিকে দেশের একতা এবং ঐক্তান ধরে রাখার জন্য জনগণ উন্নতি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতায় নিজেদের অবদান রাখতে হবে।
সম্প্রতি ‘ঈদগা শরিফ’ এ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কিছু রাষ্ট্র বিরোধী উপাদান সাম্প্রদায়িকতা এবং ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়ে এই দেশের স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করে দিতে চায়। ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের দেশের শক্তিকে বৃদ্ধি করার জন্য ভূমিকা রাখা উচিত।
পীর হাসান নাকিবুর রেহমান ইসলাম ধর্মকে একটি শান্তি, সমান অধিকার এবং সহমর্মিতার ধর্ম বলে উল্লেখ করে বলেন, ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী লোকজনদের অবশ্যই শিক্ষিত হওয়া উচিত।
যেকোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক মতবাদকে শান্তি পূর্ণ উপায়ে মোকাবেলা করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তাহাফু্র-ই-নামোস-ই-রিসালাত হচ্ছে সকল মুসলিমদের জন্য একটি সাধারণ বিশ্বাস এবং এ বিশ্বাসকে রক্ষা করা সকল মুসলিমের প্রধান দায়িত্ব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পীর হাসান নাকিবুর রেহমান বলেন, সুফি সাধকদের হিতসাধন মূলক কার্যক্রমের ভিত্তিতেই পাকিস্তানের জন্ম এবং দেশের সংহতি রক্ষার স্বার্থে সুফিদের এসকল শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘সুফি সাধকদের স্তম্ভগুলো মুসলিম উম্মাহ’র একতা ধরে রাখার জন্য মূল্যবান অবদান রেখে চলছে।’
পীর হাসান নাকিবুর রেহমানের ভাষায়, পাকিস্তানের সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে এবং পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন প্রণয়নকে নিষিদ্ধ করেছে।
তিনি একই সাথে আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাগণের দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করামূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
‘ঈদগা শরিফ’ এর আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে, পীর নাকিবুর রেহমান, পীর ওবাইদ উল্লাহ, পীর মুজতাবা গুল বাদশা, পীর সাদাত আলি শাহ, পীর আলি রাজা, পাকিস্তান আইন সভার সদস্যবৃন্দ এবং দেশটির বিশিষ্ট আলেম ওলামাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ পাকিস্তানটুডে ডট কম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন