আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেছেন, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারা যেভাবে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন-২০১৬ কে উপস্থাপন করছেন তাতে করে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে চিড় ধরবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের লোকসভায় আইনটি পাস হয়েছে। এই আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম অভিবাসীদের দ্রুত নাগরিকত্ব প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। আইনটি প্রণীত হলে এই প্রতিবেশী দেশগুলোর হিন্দু, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সিসরা ভারতে বসবাসের ছয় বছরের মধ্যে নাগরিকত্ব পাবেন। তাদের কোনও কাগজপত্র না থাকলেও চলবে। বর্তমান আইনে নাগরিকত্ব পেতে ১২ বছর অপেক্ষা করতে হয়।
১৫ বছর আসামের ক্ষমতায় থাকা তরুণ গগৈ মনে করেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়নের দাবি করার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিবেশী গড়ে তোলার চেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। তিনি বলেন, এই আইনে উভয় দেশের সম্পর্কে চিড় ধরাবে। এখনকার বাংলাদেশ অনেক বেশি সহযোগিতামূলক, সীমান্তে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নেওয়া শেখ হাসিনার পদক্ষেপের কারণে উত্তরপূর্ব ভারতে শান্তি বিরাজ করছে। বাংলাদেশে হিন্দুরা নিরাপদ, প্রতিবছর দুর্গাপূজার সংখ্যা বাড়ছে। আর এখানে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ধর্মীয় নিপীড়নের কথা বলে বাংলাদেশকে খারাপ হিসেবে হাজির করা হচ্ছে।
তরুণ গগৈ বলেছেন, আসামকে যে ১৫ বছর তিনি শাসন করেছেন ওই সময় বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে কেউ-ই নাগরিকত্ব চাইতে আসাম আসেনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে নিয়ে আমার দীর্ঘ ফোনালাপ হয়েছে।
প্রবীণ এই রাজনীতিক মনে করেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়ন নিয়ে বিজেপির প্রচারণায় শেখ হাসিনার সরকারকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন