ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের এক সমুদ্রসৈকতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি জার্মান ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষের দেখা মিলেছে। কেলে শহরের কাছে রিসোঁ সমুদ্রসৈকতের বালু সরিয়ে ধীরে ধীরে ইউসি-৬১ নামের সাবমেরিনটি মাথা তুলছে। জার্মান ডুবোজাহাজটি ১৯১৭ সালে এ উপকূলের কাছেই পরিত্যক্ত হয়েছিল।
বালুর নিচ থেকে ধীরে ধীরে উপরে উঠে আসা সাবমেরিনটি দেখতে রিসোঁ সৈকতে পর্যটকদের ভিড় বাড়লেও এটি ফের অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন মেয়র বার্নাড বাজ। ডিসেম্বর থেকে মূলত ভাটার সময়েই সাবমেরিনটির দু’টি অংশ দেখা যাচ্ছে। মেয়র বার্নাড বলেছেন, ‘দুই-তিন বছর পরপরই এ ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়, তবে এটা নির্ভর করছে স্রোত এবং বালু সরানো বাতাসের ওপর; বাতাসের ধাক্কায় ধ্বংসাবশেষটি ফের হারিয়ে যেতে পারে।’
স্থানীয় গাইড ভিনসেন্ট স্মিত অবশ্য বলছেন উল্টোটা। তার মতে, বাতাস এলে বরং সাবমেরিনটির আরো বেশি অংশ উন্মোচিত হবে। তিনি বলেন, ‘রিসেঁাঁর সব বাসিন্দাই জানেন এখানে একটি সাবমেরিন আছে, যদিও এর ধ্বংসাবশেষের বেশির ভাগই পলিতে ঢাকা, সে কারণেই অদৃশ্য হয়। সময়ে সময়ে কিছু কিছু অংশ দেখা যায়, যদিও এবারই প্রথম এতখানি উদ্ভাসিত হয়েছে।’
ইউ-বোট নামে পরিচিত জার্মান সাবমেরিনগুলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর কয়েক শ’ নৌযান ডুবিয়ে দিয়েছিল। রিসোঁ উপকূলের ইউসি-৬১ ডুবোজাহাজটিও মাইন দিয়ে কিংবা টর্পেডো ছুড়ে ১১টি জাহাজ ডুবিয়েছে বলে ঐতিহাসিকেরা জানিয়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন