গত প্রায় দুই দশকে মুসলিম প্রধান দেশসমূহে ৫০ মিলিয়ন নারী কর্মসংস্থানে যোগ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মুলিম নারীদের এই জাগরণ এক অসাধারণ নীরব বিপ্লব। এমনটাই বলা হয়েছে ওয়ার্ল্ড থিঙ্কট্যাংক এর প্রতিবেদনে।
দি গ্লোবালিস্ট-রিথিংকিং গ্লোবালাইজেশন শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০-২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ৬২ টি মুসলিম দেশে ৫ কোটি নারী শ্রম বাজারে যোগ দিয়েছেন। নিজ নিজ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মুসলিম নারীদের এই অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাকে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন- এটা মুসলিম বিশ্বের অভূতপূর্ব অগ্রগমন।
ওয়ার্ল্ড অর্থনৈতিক ফোরামের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং শিক্ষা বিষয়ক দফতরের প্রধান মিস সাদিয়া জাহিদি (পাকিস্তানি) বলেন, ‘৫ কোটি মুসলিম নারীর ইতিবাচক শিক্ষার উন্নয়নে গত দুই দশকে গোটা মুসলিম বিশ্বের এক অসাধারণ পরিবর্তন ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘মূলতঃ ১৫৫ মিলিয়ন বা ১৫ কোটি মুসলিম নারী কর্মসংস্থানে যুক্ত রয়েছেন। এরমধ্যে গত ১৫ বছরে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি। অপরদিকে, মুসলিম নারীদের বিপরীতে ৩৪২ মিলিয়ন মুসলিম পুরুষ শ্রমবাজারে যুক্ত রয়েছেন।’
গবেষণা তথ্যে বলা হয়েছে, সাউদি আরবে ১৯৭০ সালে ২ শতাংশের কম নারী বিশ্ববিদ্যালয় যেতেন। ১৯৯০ সালে তা বেড়ে ৯ শতাংশে দাঁড়ায় এবং বর্তমানে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ শতাংশে।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিও'র (University of Western Ontario, Canada) গবেষক মি. আমানী হামদান জানিয়েছেন, ২০০৩ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী সাউদি আরবে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ৭২ শতাংশ এবং নারীদের ৫০ শতাংশের বেশি। তবে ১৯৭০ সালে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ছিল ১৫ শতাংশ এবং নারীদের স্বাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ। এই হার উপসাগরীয় আরব দেশসমূহের মধ্যে সাউদি আরবে শিক্ষার হার সব চেয়ে কম ছিল।
মি. হামদান বলেন, ‘১৯৯২ সালে যেখানে সাউদি আরবে ৭ শতাংশ নারী গৃহকর্মে নিয়োজিত ছিলেন সেখানে ২০০৩ সালে কমে দাঁড়ায় ৪ শতাংশে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ফলে আরব নারীরা অন্য পেশায় নিযুক্ত হচ্ছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন