কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী সা’দ আল-কা’বি বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে তার দেশ তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে না। ওপেকের ১৭৫তম বৈঠকে যোগ দিতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা পৌঁছে বুধবার এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সা’দ আল-কা’বি দাবি করেন, কাতার ওপেকে নিজের উপস্থিতির উপকারী ও ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। একটি গ্যাসসমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গ্যাস রফতানিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করাই দোহার জন্য বেশি লাভজনক।
গত ৩ ডিসেম্বর কাতার ওপেক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে। আগামী মাস থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, ওপেকের সদস্য থেকে কাতারের তেমন কোনও লাভ নেই। অথচ গ্যাস খাতে তার দেশের সামনে সাফল্যের অনেক বড় দুয়ার খোলা রয়েছে।
তিনি জানান, কাতার দৈনিক মাত্র ছয় লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করে। এটি বন্ধ হয়ে গেলেও ওপেকের কোনও ক্ষতি হবে না।
গত ৩ ডিসেম্বর ওপেক ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে কাতার। ফলে ওপেক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্পের উন্নয়নে কাতারি প্রচেষ্টার প্রতিফলন। বছরে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন ৭৭ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ১১০ মিলিয়ন টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের ৫ জুন সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধের ঘটনায় সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটে জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। কেননা, বিশ্বের শীর্ষ তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানিকারক দেশ কাতার। মাথাপিছু আয় ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৬০ মার্কিন ডলার, যা দেশটিকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনী দেশে পরিণত করেছে। সূত্র: পার্স টুডে, সিএনবিসি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন