টুইন টাওয়ারে ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ যুদ্ধ শুরু করে। এতে ইরাক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে প্রায় ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, ৪ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৫ লাখ সাত হাজার মানুষ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু, বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে জানান গবেষকরা।
নতুন এই তথ্যে ২০১৬ সালের হিসাবের চেয়ে ১ লাখ ১০ হাজার বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানাচ্ছে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি।
‘আমেরিকার মানুষ, গণমাধ্যম ও রাষ্ট্রনেতারা সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের বিষয়টি উপেক্ষা করে। কিন্তু, মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া প্রমাণ হচ্ছে, কমে আসার বদলে এই যুদ্ধ এখনও তীব্রভাবেই চলছে,’ এক বিবৃতিতে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়টি।
নিহতদদের মধ্যে বিদ্রোহী, স্থানীয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, সাধারণ মানুষ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রবাহিনীর সৈন্যরাও রয়েছেন।
প্রতিবেদনের লেখক নেটা ক্রফোর্ড বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও স্থানীয় বাহিনীর প্রতিবেদনে যাদের জঙ্গি বলে অভিহিত করেছে, তাদের অনেকেই সাধারণ মানুষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হয়তো কখনোই যুদ্ধে নিহতের সঠিক সংখ্যা জানতে পারব না।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাকে প্রায় ২ লাখ, আফগানিস্তানে ৩৮ হাজার ৪৮০ এবং পাকিস্তানে ২৩ হাজার ৩৭২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইরাক ও আফগানিস্তানে প্রায় ৭ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে।
যুদ্ধের পরোক্ষ প্রভাবে যেসব মানুষ নিহত হয়েছে, তাদের সংখ্যা এই প্রতিবেদনের অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন