একেবারেই নতুন ধরনের সফটওয়্যার। যা ব্যবহার করে যে কারও শারীরিক গঠন, হাঁটাচলা দেখেই শনাক্ত করা হচ্ছে অপরাধী বা সন্দেহভাজন কাউকে। তাও আবার চেহারা না দেখেই।
মূলত জনগণের ওপর নজরদারি চালাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ সফটওয়্যারের ব্যাপক ব্যবহার শুরু করেছে চীন। নাম দেয়া হয়েছে ‘গাইট রিকগনিশন’ বা চলনভঙ্গি শনাক্তকরণ সফটওয়্যার।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে, বিমানবন্দর, বড় শপিংমলের মতো নানা জনাকীর্ণ এলাকায় বসানো হচ্ছে এ নজরদারি যন্ত্র।
জনগণের ওপর নজরদারি লক্ষ্যে চীন ইতিমধ্যে ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’ বা মুখাবয়ব শনাক্তকরণ সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। এজন্য দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৭০ কোটি নজরদারি ক্যামেরা বসানো হবে।
এই প্রযুক্তির একটা প্রধান সমস্যা হচ্ছে, ক্যামেরায় মুখচ্ছবি বা চেহারা না দেখা গেলে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। নতুন সফটওয়্যারটিতে সেই সমস্যা নেই। ব্যক্তির চেহারা ক্যামেরায় ধরা না পড়লেও তার শরীরের গড়ন ও চলনভঙ্গি বিশ্লেষণ করেই চিহ্নিত করা হচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, রাজধানী বেইজিং ও অন্যতম বড় শহর সাংহাইতে ইতিমধ্যে নতুন এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। অপরাধী শনাক্তে শহর দুটির রাস্তায় রাস্তায় এগুলো ব্যবহার করছে পুলিশ।
এটা দেশজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উপাত্তভিত্তিক নজরদারি জোরদার করতে চীনা সরকারের পদক্ষেপের অংশ।
সরকারের ক্রমবর্ধমান এই নজরদারি কর্মকাণ্ড কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সফটওয়্যারটির উৎপাদন করছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান ওয়াট্রিক্স।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী হুয়াং ইয়ংজেন বলেন, ‘সফটওয়্যারটি অন্তত ৫০ মিটার দূরে (১৬৫ ফুট) চলাচলরত যে কাউকে চিহ্নিত করতে পারে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন