তদন্তকারীদের বোকা বানাতে নিজেদের এক সদস্যকে সৌদি সাংবাদিক খাশোগির বেশে সাজিয়েছিল সৌদি হত্যাকারী দল। খাশোগি সুস্থ অবস্থায় কনস্যুলেট ত্যাগ করেছেন--বিশ্বকে এমন বার্তা দিতেই ওই ব্যক্তিকে খাশোগির পোশাক, দাড়ি-গোফে ‘নকল খাশোগি’ বানিয়েছিলেন সৌদি কর্মকর্তারা। সোমবার প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনে ঘটনাটি তুলে এনেছেন সিএনএনের সাংবাদিক ক্লারিসা ওয়ার্ড।
ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, গেল ২ অক্টোবর জামাল খাশোগি কনস্যুলেটে ঢোকার দুই ঘন্টা আগে সাধারণ পোশাকে ভেতরে ঢুকতে দেখা যায় মোস্তফা মাদানি নামের এক ব্যক্তিকে। খাশোগিকে হত্যা করার পর একই ব্যক্তি কনস্যুলেট থেকে বের হন খাশোগির বেশে।
পরে ইস্তাম্বুল শহরে ঘোরাঘুরি করার পর একটি টয়লেটে ঢুকে পুনরায় ছদ্মবেশ বদলে ফেলেন তিনি। নকল খাশোগির বেশ ছেড়ে হয়ে যান মোস্তফা মাদানি।
সিএনএন জানায়, মোস্তফা মাদানি নামের এই ব্যক্তি খাশোগিকে খুন করতে ইস্তাম্বুল আসা সৌদি কিলিং মিশনেরই একজন। ১৫ সদস্যের এই মিশন খাশোগি সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের দিন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ইস্তাম্বুলে আসে। খাশোগিকে হত্যা শেষে পুনরায় চলে যায় দলটি।
তুর্কি বাগদত্তার সাথে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র আনতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক ও স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি।
খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিনের মাথায় শুক্রবার সৌদি জানায়, তুরস্কের ইস্তাম্বুল কসন্যুলেটেই সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির দাবি, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে খাশোগির মৃত্যু হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান আহমদ আল আসিরি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অন্যতম দেহরক্ষি সৌদ আল কাতানিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ১৮ জনকে।
ইত্তেফাক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন