আসামে ২৪ বছর আগে ভুয়া বন্দুকযুদ্ধে ৫ ব্যক্তিকে হত্যা করার অপরাধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেলসহ দেশটির সামরিক বাহিনীর সাত সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির একজন নেতা। এত বছর পর ২০১৮ সালে এসে কোর্ট মার্শালের কার্যক্রম শুরু হয় এবং অভিযুক্তদের সাজার রায় ঘোষণা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় তুলে নেওয়া হয়েছিল যে ৯ জনকে তাদের মধ্যে চার জনকে পড়ে জীবিত ছেড়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা।এ ঘটনা ১৯৯৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির। চা বাগানের এক কর্মকর্তার হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ‘অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের’ সংশ্লিষ্ট নয় জনকে তিনসুকিয়া জেলা থেকে ১৯৯৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তুলে নিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিজেপ নেতা জগদীশ ভূঁইয়া ওই ঘটনার পর ২২ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটি হাইকোর্টে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
আদালত ওই নয় ছাত্রনেতাকে নিকটস্থ থানায় হস্তান্তর করার আদেশ দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি। কিন্তু তারা চারজনকে ছেড়ে দিলেও পাঁচ জনকে ‘ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের’ বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়ে এক সাজানো বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় হত্যা করে ।
জগদীশের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই সামরিক আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হয় ২৭ জুলাই। গত শনিবার ঘোষিত হয় রায় যেখানে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দিবরুগড় এলাকায় মোতায়েন করা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে কর্মরত একটি সূত্র বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে সাজাপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের নাম জানিয়েছে: মেজর জেনারেল একে লাল, কর্নেল থমাস ম্যাথিউ, কর্নেল সিবিরেন, ক্যাপ্টেন দিলিপ সিং, ক্যাপ্টেন জাগদেও সিং, নায়েক আলবিন্দর সিং এবং নায়েক সিভেন্দর সিং।
রায় ঘোষণার পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বিজেপির নেতা জগদীশ ভূঁইয়া বলেছেন, ‘বিচার ব্যবস্থা, গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতার উপর আমার গভীর আস্থা রয়েছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন