শ্রীলঙ্কার হাম্বানতোতা বন্দরে চীন সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে। কৌশলগত এই বন্দরটি চীন ৯৯ বছরের জন্য শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে ইজারা নিয়েছে। চীনের কাছ থেকে নেয়া ১.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ইজারা দিতে বাধ্য হয় শ্রীলঙ্কা।
বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র রুটে অবস্থিত। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অধীনে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপজুড়ে যে অসংখ্য অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, হাম্বানতোতা বন্দর এর অন্যতম। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ এর মিত্ররা এই উদ্যোগে উদ্বিগ্ন।
গত সপ্তাহে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, হাম্বানতোতা বন্দর অল্প সময়ের মধ্যেই চীনের ক্রমবর্ধমান গভীর মহাসাগরীয় নৌবাহিনীর জন্য অগ্রসর সামরিক ঘাঁটি পরিণত হবে।
কিন্তু শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্গের অফিস জানিয়েছে, হাম্বানতোতায় কোনো বিদেশী সামরিক উপস্থিতি থাকবে না। এতে আরো বলা হয়, বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকে জানানো হয়েছে।
ব্রিটেনে অবস্থানরত বিক্রমাসিঙ্গের উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার তার অফিস থেকে জানানো হয়, বন্দরটির নিরাপত্তা গ্রহণের জন্য আমাদের নৌবাহিনীর সাউদার্ন কমান্ডকে হাম্বানতোতায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বিক্রমাসিঙ্গে বলেন, শ্রীলঙ্কা একটি বাণিজ্যিক চুক্তি করেছে। এতে হাম্বানতোতা বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা ভারতের হাতে তুলে দেয়া হবে। এই প্রকল্পটিও চীনা বিনিয়োগে করা হয়েছিল। তবে তা ব্যাপক লোকসানে রয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় ক্রমবর্ধমান চীনা আগ্রহে উদ্বেগ প্রকাশ করছে আঞ্চলিক পরাশক্তি ভারত।
গত আগস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে যে সে শ্রীলঙ্কার নৌশক্তি বাড়ানোর জন্য ৩৯ মিলিয়ন ডলার মঞ্জুরি দেবে।
একইসাথে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে সহায়তা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন