তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক খ্রিস্টান যাজককে মুক্তি না দিলে দেশটির বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দেয়ার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মিউচিন বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এ হুমকি দেন। খবর: আলজাজিরা।
তিনি বলেন, চলমান পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে শিগগিরই আরও এক দফা নিষেধাজ্ঞা আনা হচ্ছে তুরস্কের বিরুদ্ধে। মার্কিন ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রানসনকে মুক্তি দেয়া না হলে তুরস্কের অর্থনীতিকে নাজুক করে দেয়া হবে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের (তুরস্ক) মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আনব আমরা। এরকম আরও কিছু আমরা চিন্তা করছি যদি দ্রুত তারা তাকে (ব্রানসন) মুক্তি না দেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মতের প্রতি সমর্থন দিয়ে বলেন, তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের খুব ভালো বন্ধু ছিল না।
পরে তিনি এক টুইটার বার্তায় ২০১৬ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সময় আটক যাজককে তুরস্ক জিম্মি করে রেখেছে বলে দাবি করেন। সেইসাথে তাকে মহান দেশপ্রেমিক বলেও উল্লেখ করেন।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুরস্কের মুদ্রা লিরার দরপতন ঘটায় দেশটি বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছে। সেইসঙ্গে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে দৃঢ় প্রত্যয় দেখিয়েছে। এ প্রেক্ষিতে দেশটির বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আনার হুমকি দিল যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, একদিন আগে মার্কিন পণ্যের ওপর ৫৫৩ মিলিয়ন ডলারের শুল্ক বসায় তুরস্ক। এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২টি পণ্য আমদানিতে দ্বিগুণ শুল্ক দিতে হবে। এসব পণ্যের মধ্যে আছে মোটরগাড়ি, চাল, অ্যালকোহল ও তামাকজাতীয় পণ্যদ্রব্য। এছাড়া সানক্রিমসহ কিছু কসমেটিকসও আছে।
দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত উকতাই এক টুইটার বার্তায় জানান, আমাদের অর্থনীতির ওপরে মার্কিন প্রশাসনের আঘাতের জবাব দিতে তাদের কিছু পণ্যের ওপর আমরা শুল্ক বসিয়েছি।
ব্রানসনকে মুক্তি না দেয়ায় সর্বশেষ গত ১ আগস্ট তুরস্কের বিচার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে হোয়াইট হাউজ। এরপর তুরস্ক থেকে আমদানি করা স্টিল আর অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন