সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা সামরিক বাহিনী তার দূরপাল্লার বোমারু বিমানের বহর বাড়িয়েছে। দেশটি পাইলটদের যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর বিরুদ্ধে হামলারও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের এ প্রতিবেদন এমন একসময় প্রকাশ করা হয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা চলছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা খরচ বাড়িয়ে চীন বিশ্বে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। পেন্টাগনের হিসাবে ২০১৭ সালে চীন ১৯ হাজার কোটি ডলারের বেশি ব্যয় করেছে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, গত তিন বছরে পিপলস লিবারেশন আর্মি বোমারু বিমানের অভিযানের অঞ্চল দ্রুতই সম্প্রসার ঘটিয়েছে। এমনকি সংকটপূর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চলগুলোতেও অভিযান পরিচালনার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তারা।
এদিকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। এতে দুপক্ষের মধ্যে সর্বাত্মক বাণিজ্যযুদ্ধে যাওয়ার হুমকি থেকে বেরিয়ে আসতে শুল্ক সংকট নিরসনের আশা জাগিয়েছে।
কিন্তু উন্নতর সক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে গিয়ে প্রতিপক্ষগুলোকে কী বার্তা দিতে চেয়েছে চীন, তা এখানে পরিষ্কার না।
এ বিষয়ে চীনা দূতাবাস থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
চলতি বছর প্রশিক্ষণ মহড়ার অংশ হিসেবে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত প্রবাল দ্বীপে চীনা বোমারু বিমান অবতরণ করেছে।
২০১৪ সালের পর প্রথম মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে জুনে চীন সফরে গিয়েছিলেন জিম ম্যাটিস।
পেন্টাগন জানিয়েছে, চীনা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতি সত্ত্বেও ২০২৮ সালে দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট ২৪ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন