চলতি বছরের শেষে সার্ক সম্মেলনের আয়োজন করার জন্য কোমর বাঁধছে পাকিস্তান। ভারতের কূটনৈতিক সূত্রমতে, বিষয়টি ইমরান খানের ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে একাধারে মর্যাদা রক্ষা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কাছে পৌঁছানোর প্রশ্ন।
২০১৬ সালে ভারতের সার্বিক প্রয়াসে ভেস্তে গিয়েছিল সার্ক সম্মেলন। উরি হামলার জেরে ভুটান ও শ্রীলংকার মতো দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সার্ক বয়কট করেছিল ভারত।
প্রশ্ন হল, এবারের সার্কে যোগ দিতে পাকিস্তানের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসলামাবাদে যাবেন কিনা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ইমরানের পক্ষ থেকে শীর্ষ পর্যায়ের কোনো রাজনৈতিক নেতাকে দূত হিসেবে ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের দিক থেকে ভারতকে সার্কের মঞ্চে হাজির করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখা হচ্ছে না।
কারণ এটি হবে সাম্প্রতিক অতীতে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রয়াসের সবচেয়ে বড় এবং প্রথম বিজ্ঞাপন, যা ইমরান ছাড়তে নারাজ। কিন্তু ভারতের সূত্র জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত সার্কে যোগ দেয়ার ব্যাপারে অনীহা রয়েছে মোদির।
নভেম্বরে ভারতে ভোটের মৌসুম শুরু হয়ে যাবে। তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এবং তার পরেই লোকসভা নির্বাচন।
সূত্রের মতে, এমন স্পর্শকাতর সময়ে ইসলামাবাদে গিয়ে কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা দুনিয়াকে কিছুটা খুশি রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপগুলো নিঃশব্দে বজায় রেখে যাওয়া এক বিষয়।
কিন্তু ইসলামাবাদের মাটিতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ফেরা সম্পূর্ণ অন্য কথা। এখনও পর্যন্ত দিল্লির ঘোষিত অবস্থান— সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী হয়তো পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলন করে ফিরলেন। তার পরেই দেশের কোথাও অথবা কাশ্মীরেই সন্ত্রাসবাদী হামলা হল। তাতে সরকারের চরম মুখ পুড়বে। ঠিক যেমনটি হয়েছিল পাঠানকোটের সেনাছাউনিতে হামলার সময়ে।
পঠানকোট হামলার এক সপ্তাহ আগে বিনা আমন্ত্রণেই মোদি গিয়েছিলেন লাহোরে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পারিবারিক অনুষ্ঠানে।
ভোটের আগে এমন কোনো ভুল সরকার আর করতে চাইবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন