প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পাকিস্তানের সংসদে ভোটাভুটি হওয়ার দিন আজ। এরই মধ্যে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান ও বিরোধীদলীয় জোট পিএমএলএনের সভাপতি শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানই নিশ্চিত। কারণ পিটিআইবিরোধী জোট গড়লেও শেষ পর্যন্ত শাহবাজকে সমর্থন দিচ্ছে না বেনজির ভুট্টোর দল পিপিপি।
ডনের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময়। এর আগেই বুধবার ইমরান খানের মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়। পিটিআই’র শরিক আওয়ামী মুসলিম লীগের (এএমএল) প্রধান শেখ রশিদ সংসদে স্পিকারের নিকট এ মনোনয়নপত্র জমা দেন।
গত ৬ আগস্ট পিটিআই’র সংসদীয় কমিটি ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করে। একইদিন শাহবাজ শরিফকে প্রার্থী করে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পিএমএল-এনের জ্যেষ্ঠ তিন নেতা খাজা আসিফ ও আহসান ইকবাল মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বুধবার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। স্পিকার পদে আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার পদে কাসিম সুরি নির্বাচিত হয়েছেন। বিদায়ী স্পিকার আয়াজ সাদিকের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আসাদ। নির্বাচিত হওয়ার পরই নতুন স্পিকার আসাদ কায়সার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণা দেন।
ইমরানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া ঠেকাতে ১১ দলীয় গড়ে প্রধান বিরোধী দল নওয়াজের পিএমএল-এন। তবে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকা পিপিপির সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি দলটি।
গত কয়েক মাস আগে পিপিপির প্রধান আসিফ আলি জারদারি সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে শাহবাজকে মানতে রাজি নয় দলটি। বৃহস্পতিবার পিপিপির জ্যেষ্ঠ নেতা সায়েদ খুরশিদ শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, শুক্রবারের নির্বাচনে শাহবাজকে সমর্থন দেবেন না তারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন