ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ২০১৯ সালে দেশ থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করে দেশকে স্বাধীন করব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতার বেহালায় এক অনুষ্ঠানে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে এই সরকারকে উৎখাত করে দেশকে স্বাধীন করব। দেশের মানুষকে স্বাধীন করব। এটাই আমাদের শপথ। মানুষ মর্যাদা ফিরে পাবে। দেশে স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় থাকায় ‘সুপার ইমারজেন্সি’ চলছে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন। আমি মরতে রাজি আছি, কিন্তু বিজেপি’র কাছে আত্মসমর্পণ করতে রাজি নই।
একইদিনে রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনায় সোচ্চার হন মমতা।
তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, বিজেপির নেতারা এত বড় বড় কথা বলছেন! তাদের বাবা-মায়ের জন্ম প্রমাণপত্র আছে? অমিত শাহের বাবা মায়ের জন্ম প্রমাণপত্র আছে তো?
অসমে এনআরসি থেকে ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ যাওয়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অসমের ৪০ লাখ মানুষের মধ্যে ২৫ লাখ হিন্দু বাঙালি, ১৩ লাখ মুসলিম বাঙালি ও ২ লাখ বিহারি, নেপাল ও অন্যান্যরা রয়েছেন। ষড়যন্ত্র করে এদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
তার অভিযোগ, বিজেপি মানুষের মধ্যে ভাগাভাগির খেলায় মেতেছে। জোর করে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। যারা প্রতিবাদ করছে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এভাবে জোর করে ‘অনুপ্রবেশকারী’র আখ্যা দিয়ে দেগে দেয়া হচ্ছে।
‘অসমে যেসব মানুষের নাম বাদ দেয়া হয়েছে তারা ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগেই এসেছেন এবং বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে অসমে গোলযোগ সৃষ্টি করছে’ বলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন।
মানবকণ্ঠ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন