তৃতীয় বিশ্ব থেকে মুসলিম ও ইংরেজি না জানা অভিবাসীদের আসা বন্ধ করতে পারলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক স্বতন্ত্র সিনেটর। তার এ বক্তৃতার নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলসহ বড় রাজনৈতিক দলগুলো।
অভিবাসননীতি আরও কঠোর করে শ্বেতাঙ্গ অস্ট্রেলিয়ার পুনর্জীবনের আহ্বান জানিয়েছেন ওই সিনেটর। -খবর রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের।
১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে এটিই সবচেয়ে বিভেদ সৃষ্টিকারী ভাষণ। তখন উগ্র ডানপন্থী রাজনীতিবিদ পোলেন হ্যানসন অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলে বসেন, অস্ট্রেলিয়ায় দলে দলে এশীয় এসে ভরে যাচ্ছে।
আর এবার সিনেটর ফ্রেসার অ্যানিং বলে বসেন, মুসলিম অভিবাসীদের আসা বন্ধ করা হবে কিনা তা নিয়ে গণভোটের আয়োজন করা হোক।
বুধবার এক জ্বালাময়ী বক্তৃতায় তিনি বলেন, মুসলমানরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অপরাধের জন্য দায়ী। এ ছাড়া তারা রাষ্ট্রীয় তহবিলের ওপর নির্ভরশীল।
আদমশুমারিতে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার তিন শতাংশেরও কম হচ্ছে মুসলমান।
অ্যানিংয়ের এ বক্তৃতা নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল দ্রুতই তার নিন্দা জানিয়েছেন। পার্লামেন্টে টার্নবুল বলেন, আমরা যে কোনো ধরনের বর্ণবাদের নিন্দা জানাই ও প্রত্যাখ্যান করছি। সিনেটর অ্যানিং যে বক্তৃতা দিয়েছেন, তা কেবলই নিন্দনীয়। আমরা সবাই তার এ বক্তৃতা প্রত্যাখ্যান করছি।
বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা বিল শর্টেন বলেন, পার্লামেন্টের সবাই তার বক্তৃতার নিন্দা জানিয়েছেন। এটি সত্যিই নিন্দনীয়। কিন্তু সিনেটর অ্যানিং এটিকে সঠিক বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন