ইরাক থেকে আইএস নির্মূল অভিযান শুরু করার পর দেশটির সরকার মসুলসহ বির্স্তীণ অঞ্চল কব্জা করে নিয়েছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর হামলায় সিরিয়ায় আইএসের রাজধানী রাক্কাও হাতছাড়া হয়ে যায় আইএসের। এ দুটি ছিল আইএসের প্রধান অঞ্চল। কিন্তু এসব এলাকা হাতছাড়া হলেও এ দু’দেশে এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কমপক্ষে ৩০ হাজার আইএস সদস্য। এ খবর দিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের নতুন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আইএস এ বিদেশি নাগরিকদের যোগ দেয়ার হারও এখন অনেক কমে গেছে। আগের তুলনায় অর্থের যোগানও কমে গেছে।
আইএস মধ্যপ্রাচ্যে সুবিধা করতে না পেরে সদস্যরা এখন আফগানিস্তানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই সেখানে সদস্য বাড়ার পাশাপাশি অবস্থানও শক্তিশালী করছে তারা।
জাতিসংঘের সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়ায় এখন ৩ থেকে ৪ হাজার আইএস সদস্য রয়েছে। তবে তাদের প্রধান নেতারা এখন স্থান পরিবর্তন করে আফগানিস্তানে অবস্থান নিয়েছে। এসব সদস্যের মধ্যে এখনও কয়েক হাজার বিদেশি সদস্য রয়েছে।
আইএসের অর্থের উৎসও কমে গেছে বলে জানিয়েছে প্রতিবেদন। একজন আইএস সদস্য পর্যবেক্ষকদের জানিয়েছে, আইএসের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১০ কোটি মার্কিন ডলারেরও কম। তবে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তেল খনি থেকে আসা কিছু রাজস্ব এখনও তাদের তহবিল বাড়াচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইয়েমেনে আইএসের ২৫০ থেকে ৫০০ সদস্য রয়েছে। সেখানে আল কায়েদা সদস্যের সংখ্যাও ৬ থেকে ৭ হাজার। এছাড়া আফ্রিকার মালি ও নাইজারের সীমান্তবর্তী সাহেল এলাকায় আইএস সবচেয়ে সক্রিয় অবস্থায় আছে বলে জানায় প্রতিবেদন।
এছাড়াও আরো কিছু এলাকায় এখানো আইএস রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন