মালদ্বীপ কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে মোতায়েন ভারতের সামরিক কর্মকর্তা ও হেলিকপ্টার সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
জুন মাসে দুই দেশের মধ্যেকার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের সরকার এই নির্দেশ দিলো।
রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে ভারত ও চীন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে ভারত দেশটিকে সামরিক ও বেসামরিক সহায়তা দিয়ে আসলেও এখন চীন সেখানে সড়ক, ব্রিজ ও নতুন বড় আকারের এয়ারপোর্ট তৈরি করছে।
ইয়ামিন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের দমন ও এবছর সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় তার সমালোচনা করে ভারত। তার কয়েকজন প্রতিপক্ষ ভারতকে সামরিক হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানালে মালদ্বীপ সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
এই পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলের বিভিন্ন ছোট দেশকে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্র সুরক্ষিত করা, জরিপ চালানো এবং পাচার রোধে ভারতের সামরিক সহায়তা দেয়ার কার্যক্রম সংকটের মধ্যে পড়েছে।
ভারতে মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আহমেদ মোহাম্মদ রয়টার্সকে বলেন, ভারতের দেয়া দুটি হেলিকপ্টার মূলত চিকিৎসার জন্য আহতদের পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু, তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা থাকায় এগুলোর আর দরকার নেই।
হেলিকপ্টার ছাড়াও মালদ্বীপে ৫০ জন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা মোতায়েন রয়েছেন। এদের মধ্যে পাইলট ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত বিভিন্ন ব্যক্তি রয়েছেন। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নেয়নি ভারত।
ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানান, তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য দেয়নি। রয়টার্স, পরিবর্তন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন