অনেক বছর ধরে ফ্যাশন জগতে কাজ করেছেন তিনি। প্লেবয় ম্যাগাজিনে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন যে,
“এ এক অন্ধকারাচ্ছন্ন ও কষ্টকর জীবন যা আমাকে ইসলাম গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।”
এশিয়া মিডিয়াতে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছিল তিনি নিজের ব্লগে একবার লিখেছিলেন
“আমি বিশ্বাস করি শরীর প্রদর্শনের চাইতেও আমি অধিক দামী।”
২০১৪ সালে মডেলিং জগতে প্রবেশের পর ইয়েপ ফিলিপাইন প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ অথবা মডেল হিসেবে পোজ দিতেন।
২০১৪ এবং ২০১৩ সালের মধ্যে, তিনি অনুভব করেছিলেন যে, তিনি এমন পুরুষ দ্বারা "ব্যবহৃত" হচ্ছেন যারা বিবাহের পরিবর্তে শুধুমাত্র আনন্দ করার খোঁজে ছিলেন।
তিনি বলেন, ২০১৪-২০১৬ এ সংক্ষিপ্ত সময়ের মডেলিং ক্যারিয়ারে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, তিনি ক্রমাগত পুরুষদের ভোগে পরিণত হচ্ছেন। লোকেরা তাকে আনন্দের উৎস হিসেবে বিবেচনা করলেও কখনো একজন স্ত্রীর মর্যাদা দিতে রাজি হচ্ছিল না।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন আসলে এটা কোন জীবনই নয় বরং জীবনকে উপভোগ করতে হলে আরও অনেক দূর যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমি এ পথ থেকে বাঁচার অবলম্বন হিসেবে একটি ধর্ম ও প্রভুকে খুঁজছিলাম যেন আমি আরও সুন্দর ও সুখী জীবন যাপন করতে পারি। আমি চাচ্ছিলাম শরীর ঢেকে রাখতে যেখানে মানুষ আমার দৃশ্যমান লাস্যময়তা নয় বরং অদেখা আমাকে জেনে সম্মান করবে।
অবশেষে তিনি ইসলামের মাঝেই কাঙ্খিত মঞ্জিল ও হিজাব পেয়ে যান। তার মতে, ইসলাম হচ্ছে এমন পন্থা যেখানে আপনি সুখ ও সম্মান উভয়ই পাবেন।
ইয়েপ লিখেছেন,
“যদি কোন ধর্ম আমাকে জীবনের সৌন্দর্য সম্পর্কে পথ নির্দেশ করে তবে কেন আমি তা বুঝতে চেষ্টা করবনা?”
কিছু ব্যক্তি কিংবা ধর্মান্ধদের কারণে কি এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেল?
সাবেক প্লেবয় ম্যাগাজিনের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে আপন মেধা ও দক্ষতার সাহায্যে এখন নিজেকে একজন আদর্শ মুসলিমাহ হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।
ইয়েপ দেখিয়েছেন একজন নারী একইসাথে শক্তিশালী, সুন্দর ও সম্মানের অধিকারিণী হতে পারেন।
ইসলামে হিজাব হচ্ছে একটি আবশ্যিক পোশাক সুতরাং একে শুধুমাত্র একটি ধর্মের প্রতীক মনে করলে তা ভুল হবে। সেকুলার মিডিয়াগুলো এই সুযোগ গ্রহণে উন্মুখ হয়ে থাকে। প্রায়ই তারা প্রচার করে ইসলামী আইনে মহিলাদের পোশাকের মাধ্যমে তাদেরকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রায় ১৪০০ বছর আগেই মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার মাধ্যম ইসলাম এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করে গেছে যা আজ এই আধুনিক কালেও সম্ভব হচ্ছে না।
নারীকে ইসলাম মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। দিয়েছে রাজনৈতিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা, এর সাথে সমাজের সকল কে বলে দেয়া হয়েছে নারীকে দেখ আপন মা, বোন, স্ত্রী কিংবা কন্যার চোখে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন