সৌদি আরবের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক টানাপড়েন নিরসনে জার্মানি ও সুইডেনসহ মিত্র দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছে কানাডা। বৃহস্পতিবার কানাডার সরকারি সূত্র দিয়ে এ খবর দিয়েছে এএফপি।
কূটনীতির স্পর্শকাতরতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিশিয়া ফ্রিল্যান্ড ইউরোপীয় এ দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে বিরোধের বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।
এর আগে সৌদি আরবের মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তোলার কারণে জার্মানি ও সুইডেন দেশটির নেতিবাচক প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হয়।
কানাডার ওই কর্মকর্তা জানান, এ বিরোধ কিভাবে নিরসন করা যায় সে ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা ও সমর্থন চেয়েছেন ফ্রিল্যান্ড। অটোয়া ব্রিটেন ও আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেরও সহযোগিতা নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। সৌদি আরবের সাথে ঐতিহাসিকভাবে ব্রিটেনের অনেক ভাল সম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে নারীর অধিকার রক্ষা বিষয়ক আইনজীবী গ্রুপ, বিভিন্ন দাতা সংগঠন ও বেসামরিক অধিকার রক্ষা গ্রুপ সৌদি আরবে নারীর অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে কানাডার সাথে যোগ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
সৌদি আরবে মানবাধিকার কর্মীদের হয়রানির নিন্দা এবং গ্রেপ্তার হওয়া নারী অধিকার কর্মী সামার বাদওয়ি ও নাসিমা আল সাদা’র মুক্তির দাবি জানায় কানাডা। এরপরই আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে কানাডার সঙ্গে সকল বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি। কানাডা থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি রিয়াদে থাকা কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে সৌদি সরকার।
এছাড়া কানাডায় অধ্যয়নরত ১৬ হাজার সৌদি শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরে আসার আদেশ দেয়া হয়। এমনকি কানাডার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া ব্যক্তিদেরও কানাডা ছাড়ার আদেশ দেয় সৌদি আরব।
সৌদির এমন কর্মকাণ্ডে বেশ হতাশ কানাডা। এমন সংকট শুরুর পর তৃতীয় পক্ষের সাহায্যের বিষয়টি সামনে আসলে সৌদি আরব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে, তারা কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগাবে না এমনকি তৃতীয় পক্ষকেও মানবে না তারা।
সৌদি আরবের এমন ঘোষণার পরও তৃতীয় পক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছে কানাডা। তা এই প্রতিবেদন থেকেই ধারণা পাওয়া যায়।
ঢাকাটাইমস/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন