নতুন করে শ্রীলঙ্কাকে ২৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে চলেছে চীন। ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপে আধিপত্য বিস্তার করতেই চীন এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার এই অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা। চীনের অনুদানে তৈরি একটি হাসপাতালের উদ্বোধনে গিয়ে একথা জানান তিনি। বলেন, চীনের দূত তাঁর অফিসে এসেই জানিয়েছিলেন যে তাঁর জন্য আরও একটি উপহার পাঠাতে চলেছে চীন।
তিনি জানিয়েছেন, চীন তাঁকে ২০০ কোটি ইউয়ান দিয়েছে। যা তিনি নিজের ইচ্ছামত যে কোনও প্রজেক্টে ব্যবহার করতে পারেন। এই প্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কার চীনা দূতাবাসের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
একদিকে, শ্রীলঙ্কার নির্বাচনে টাকা খরচ করার অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই এমন একটা লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছে চীন। গত মাসেই ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয় যে, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষের পুনর্নির্বাচনের জন্য ৭.৬ মিলিয়ন খরচ করেছিল চীন।
কিছুদিন আগে চীনের নিয়ন্ত্রণে থাকা বন্দরে শ্রীলঙ্কার নৌসেনা ঘাঁটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এই বন্দরকে চীন সামরিক কাজে ব্যবহার করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বর্তমানে শ্রীলঙ্কার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র গালেতে অবস্থিত ওই নৌঘাঁটি। সেটিকেই এবার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে ১২৫ কিলোমিটার দুরে হাম্বানটোটায়। এশিয়া ও ইউরোপের মুল শিপিং রুটের কাছেই অবস্থিত ওই বন্দর। দেড়শ কোটি ডলারে তৈরি হওয়া ওই বন্দর চীনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ প্রকল্পে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১১২ কোটি ডলারে সেই বন্দর লিজ নিয়েছে চীনের ‘মার্চেন্টস পোর্ট’। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কার নৌসেনা ওই বন্দরে সরতে শুরু করেছে। নির্মাণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন