লস্কর-ই-তৈয়্যেবার মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সমর্থনপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পাক নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা। ইসলামাবাদকে এ কথা ফের মনে করিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।
আগামী ২৫ জুলাই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘ভোটে লস্করের ভূমিকা আমেরিকা যে ভাল চোখে দেখছে না, সে কথা একাধিক বার জানানো হয়েছে পাকিস্তানকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গ্রুপটির প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।’
পাক নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি হাফিজ় সাঈদের রাজনৈতিক দল ‘মিলি মুসলিম লিগ’ (এমএমএল)-এর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এদিন জানায়, কমিশনের ওই পদক্ষেপে খুশি হয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু তাতে চূড়ান্ত অর্থে লাভ কিছুই হয়নি। দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাওয়ায় এমএমএল-এর অন্তত ২০০ প্রার্থী ‘আল্লাহ-ও-আকবর’ নামে অন্য একটি মঞ্চ থেকে লড়ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত হাফিজ সাঈদ লস্করেরই অন্যতম শাখা সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান। এমএমএল-এর প্রতিষ্ঠাতা তিনিই। একজন বিদ্রোহী নেতার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে আমেরিকার চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল পাকিস্তানকে।
বিদ্রোহী মোকাবিলায় পাকিস্তানের ভূমিকায় অখুশি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সও। সন্ত্রাস দমনে অর্থ সাহায্য করে ওই আন্তর্জাতিক সংগঠন। সম্প্রতি প্যারিসের সম্মেলনে তারা পাকিস্তানের নাম ‘ধূসর তালিকা’য় ঘোষণা করে। পরিস্থিতি সামলাতে শেষে এমএমএল-এর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে বাধ্য হয় পাক প্রশাসন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন