পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে দেশটির অন্যতম প্রধান একটি গণমাধ্যমের প্রধানের সঙ্গে বিবিসির একটি সাক্ষাৎকার নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ডন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী হামিদ হারুন অভিযোগ করেছেন, দেশটির সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনী সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান এবং তার দল পিটিআইকে সাহায্য করছে।
বিবিসির 'হার্ড-টক' অনুষ্ঠানে দেয়া এই সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে অভিযোগ করা হচ্ছে, হারুন ও তার পত্রিকা দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সমর্থনে পক্ষপাতিত্ব করেছে এবং ইমরান খানের বিপক্ষে অবস্থান করেছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে আগামী ২৫ জুলাই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে যেসব পত্রিকা সেন্সরশিপের এবং হুমকির মধ্যে রয়েছে ডন পত্রিকার সেগুলোর মধ্যে একটি।
সোমবার প্রচারিত হওয়া ওই সাক্ষাৎকারে হারুন অভিযোগ করেন, দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী সংবাদমাধ্যমের জন্য একটা ‘অভূতপূর্ব আক্রমণ’। তিনি অল পাকিস্তান নিউজপেপারস সোসাইটির সভাপতিও।
১৯৪৭ সালের পর থেকেই দেশটির রাজনীতিতে অহরহ হস্তক্ষেপ করেছে সেনাবাহিনী। দেশটিতে সামরিক এবং বেসামরিক সরকারের কাছে বার বার ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। তবে সেনাবাহিনী আগামী নির্বাচনে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হারুন বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এই পর্যায়ে মনে হচ্ছে, দ্বিতীয় সারির নেতার সাথে যুক্ত হয়ে জোট সরকার গঠনের প্রচেষ্টা হচ্ছে যেটা 'ডিপ স্টেট' এর পরিচালনায় চলবে।’
এদিকে, এই সাক্ষাৎকার নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। টুইটারে ইমরান খান বলেছেন, তার দলের বিরুদ্ধে ডন পত্রিকা ভয়ানক বিরুদ্ধচারণ করেছে।
অন্যরা বলছেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আগে হারুনের কাছে শক্ত তথ্য-প্রমাণ থাকা উচিত ছিল।
তবে হারুনের পক্ষে কিছু সাংবাদিক এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারকারীরা কথা বলছেন। তারা বলেছেন, হারুনকে একটা কঠিন অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছিল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন