খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে এই প্রথম ডিম আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে সরকার। দেশের ডিম উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ এগ প্রডিউসার এসোসিয়েশনসহ ব্যবসায়ী ও পোল্ট্রি খাত সংশ্লিষ্টরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান।
এসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহ্মেদ সিদ্দিক বলেন, ডিমের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এই দামে বিক্রি করতে হলে খামারিদের উৎপাদন খরচ, পাইকারি, আড়ৎদার এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা কে কত লাভে বিক্রি করবে তা নির্ধারণ করা উচিৎ ছিল।
তিনি বলেন, আমদানির এ সিদ্ধান্তটি আত্মঘাতি। বিদেশ থেকে ডিম আসা মানে সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে আসা। এছাড়াও যে ডিম আনা হবে সেগুলো হচ্ছে ২৫ গ্রামের সাদা ডিম। আর আমাদের ডিমের ওজন ৩৫ গ্রামের উপরে। এগুলো লাল ডিম।
তিনি বলেন, ডিম আমদানি করলে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। পরে আরও বেশি দামে ডিম খেতে হবে। বর্তমানে আমরা ১২ টাকা করেই বিক্রি করছি। সরকারও সে দামেই কিনছে। তাহলে দাম তো কমলো না।
সভাপতি তাহের অভিযোগ করে বলেন, যেসব কোম্পানিকে আমদানি করার অনুমতি দেয় হয়েছে তারা শুধুই আমদানিকারক। তারা আমাদের সংগঠনের কোন সদস্য নন। তারা ডিমের কী বোঝেন?
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিআইএ) মহাসচিব ও ইউনাইটেড অ্যাগ্রো কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী খন্দকার মুহাম্মদ মহসিন বলেন, কোনো সেক্টর আমদানি নির্ভর হলে তার ফলাফল ভালো হয় না।
তিনি বলেন, বাজারে অল্প কিছুদিন দামে ডিমের ঘাটতি ছিল, এ কারণে দাম বেড়েছে। দাম কমাতে ডিম আমদানি করতে হবে, তা আমরা মনে করি না। পোল্ট্রি সেক্টর একমাত্র সেক্টর আমরা আমদানি নির্ভর না। এই শিল্পে সাময়িক যে সমস্যা রয়েছে, তা আমরা ওভারকাম করতে পারবো। আমার মনে হয় না আমদানির দরকার আছে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন