সিজনাল, নন-সিজনাল ও স্পন্সর বা উদ্যোক্তা ভিসায় বাংলাদেশসহ ৩৩টি দেশ থেকে প্রায় ৮৩ হাজার কর্মী নেবে পশ্চিম ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে সিজনাল ভিসায় নিয়োগ পাবেন ৪৪ হাজার জন। এর মধ্যে যেসব কর্মী গত পাঁচ বছরের মধ্যে ইতালিতে সিজনাল ভিসায় নিয়োগ পেয়ে চাকরি করে মেয়াদ শেষে নিজ দেশে ফিরে গেছেন, তাঁদের ১৫০০ জনের কোটা বরাদ্দ থাকবে। সিজনাল ভিসায় কৃষিকাজের জন্য কোটা বরাদ্দ ২২ হাজার জনের।
নন-সিজনাল, স্পন্সর বা উদ্যোক্তা ভিসায় নেওয়া হবে ৩৮ হাজার ৭০৫ জন কর্মী। নন-সিজনাল ভিসায় মালবাহী পরিবহনের জন্য চালক, নির্মাণশিল্প, পর্যটন ও আবাসন ব্যবস্থাপনা, কারিগরি, টেলিযোগাযোগ, জাহাজ নির্মাণ, খাদ্যসামগ্রী বিক্রয় ও ব্যবস্থাপনা সেক্টরে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ ৩৩টি দেশ অন্তর্ভুক্ত আছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট দেশের জন্য নির্ধারিত কোটার কথা উল্লেখ করা হয়নি।
ইতালিতে অবস্থানরত সিজনাল ভিসায় এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ ভিসায় আগত ছয় হাজার ৬০০ জনের ভিসা পরিবর্তন করে স্থায়ী কর্মী ভিসার (নন-সিজনাল ভিসায়) রূপান্তর করার সুযোগ থাকবে।
ভিসা আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :
১. নির্ধারিত মেয়াদসহ পাসপোর্ট এবং পাসপোর্টের তথ্যসংক্রান্ত পাতার দুই সেট ফটোকপি।
২. ৪.০–৩.৫ সেমি সাইজের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের দুই কপি সাম্প্রতিক তোলা ছবি।
৩. আবেদনকারীর স্বাক্ষরসহ পূরণ করা ভিসা আবেদনপত্র।
ভিসা আবেদনের ধাপ :
১. ভিসার ধরন নির্বাচন : সবার আগে সঠিক ভিসা নির্বাচন করুন। প্রথম ধাপে আপনার জন্য প্রযোজ্য ভিসার ধরন নির্ধারণ ও আপনি এটির জন্য আবেদন করার যোগ্য কি না যাচাই করুন। আবেদনের সঙ্গে যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে, আবেদনপ্রক্রিয়ার সময়কাল কত দিন এবং ফি কত, জেনে নিন। আবেদনের সময় অবশ্যই আপনার ভিসা বিভাগের জন্য প্রযোজ্য নির্দেশিকা মেনে চলুন। আপনার কোনো কাগজপত্রের ভাষা ইংরেজিতে না হলে আবেদন করার আগে সেগুলো অনুবাদ করে প্রস্তুত করুন।
২. আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করুন : যদি আপনি যোগ্য হন, তাহলে ফরম ডাউনলোড করে ‘ডি-টাইপ’ (দীর্ঘমেয়াদি) বা ‘সি-টাইপ’ (স্বল্পমেয়াদি), যেটি আপনার জন্য প্রযোজ্য, সেটি পূরণ করে প্রিন্ট করুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ভিসা আবেদন কেন্দ্রে এনে জমা করুন।
৩. অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন : এই অংশে ভিসা আবেদন কেন্দ্র নির্বাচন করুন। বর্তমানে জমা করতে কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন নেই।
৪. ফি : আপনার নির্ধারিত ফি কত, দেখে নিন। আপনার আবেদনপত্র পূরণ এবং অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি হয়ে গেলে নির্ধারিত ফি জমা দিন। ভিসা আবেদন কেন্দ্রে কিংবা ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড দিয়ে ফি দিতে পারবেন।
৫. আবেদনের হাল অবস্থা ট্র্যাক করুন : আপনার আবেদনপ্রক্রিয়ার সর্বশেষ কোন অবস্থায় আছে, সেটি অনলাইনে জানতে পারবেন। এ ছাড়া আবেদনের সময় দেওয়া আপনার মোবাইল নম্বরে পাসপোর্ট সংগ্রহ বা ভিসাপ্রাপ্তির তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।
৬. পাসপোর্ট সংগ্রহ : সব শেষে ভিসা কেন্দ্র থেকে এসএমএস পাওয়ার পর সেখানে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।
এ ক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো—
♦ প্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারীদের নিজে উপস্থিত থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
♦ ১৮ বছরের কম বয়সীদের পাসপোর্ট সংগ্রহকালে আইনগত অভিভাবক সঙ্গে থাকতে হবে।
♦ মূল রসিদ এবং যেকোনো ধরনের সরকারি পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকতে হবে।
♦ আবেদনের লিংক : www.esteri.it/visti/home_eng.asp
সূত্র : https://visa.vfsglobal.com
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন