ফ্যাসিবাদের সহায়ক আওয়ামীপন্থী গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও পুলিশের আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না এখন। শুক্রবার (২৪শে মার্চ) পুরান ঢাকায় আওয়ামীপন্থী অনলাইন পোর্টাল ঢাকা ট্রিবিউনের ফটো সাংবাদিক মাহমুদ হোসেন অপুকে প্রকাশ্য জনসম্মুখে মুখে কিল-ঘুষি মেরেছেন চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জায়েন উদ্দীন মুহাম্মদ যিয়াদ। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জানা গেছে, পুরান ঢাকার চকবাজার থানার সামনে প্রতিদিনই অবৈধভাবে লেগুনা রাখা হয়। এসব লেগুনা থেকে নিয়মিত বখরা আদায় করেন পুলিশের সদস্যরা। এসব লেগুনার পেছনে শুক্রবার মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে ঢাকা ট্রিবিউনের ফটো সাংবাদিক মাহমুদ হোসেন অপুর সাথে বিরোধ হয় লেগুনা চালকদের। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে সিভিল পোশাকে হাজির হন চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জায়েন উদ্দীন মুহাম্মদ যিয়াদ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা তখন লেগুনা চালকদের পক্ষ নিয়ে বলেন, আওয়ামীপন্থী ঢাকা ট্রিবিউনের ফটো সাংবাদিককে কিল-ঘুষি দেন।
এমন সময় কমিউনিটি পুলিশের এক সদস্য সাংবাদিক অপুর মোটরসাইকেলটি টেনেহিঁচড়ে সরানোর চেষ্টা করেন। তখন অপু কমিউনিটি পুলিশকে নিবৃত হতে অনুরোধ করেন। এতে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে না পরে সহকারী কমিশনার যায়েদ ফটো সাংবাদিক অপুর অপুর মুখ বরাবর ঘুষি মারেন।
শুক্রবার দুপুরে চকবাজার থানার সামনে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ফটো সাংবাদিক অপু বলেন, আমি নিজের পরিচয় দিয়েছি। আমি গাড়ি সরাতে সরাতে কমিউনিটি পুলিশের এক সদস্য বড় কর্মকর্তাদের দেখে হম্বিতম্বি শুরু করেন। আমার গাড়ি টানা-হেঁচড়া শুরু করেন। এই দেখে আমি কমিউনিটি পুলিশের হাত ধরি। সঙ্গে সঙ্গে সিভিলে থাকা এসি যায়েদ আমার মুখ বরাবর ঘুষি মারেন। পরে পুলিশের অন্য সদস্যরা তাকে টেনে নিয়ে যান।
সাংবাদিককে ঘুষি মারার বিষয়ে লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এমন একটা ঘটনা আমিও শুনেছি। ওখানে নাকি একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি জানার পর সাংবাদিক ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। ততক্ষণে তিনি চকবাজার থেকে চলে গেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন