দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম রায়ভাগ ও বাগমারা। এই দুই গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের নামাজ আদায়ের জন্য রয়েছে একটি মসজিদ। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মসজিদটি নির্মাণ করা হলেও এখানে যেতে হয় ভারতের জমির ওপর দিয়ে।
বাগমারা গ্রামের ইয়াছিন আলী বলেন, ‘আমাদের গ্রামে একটি মাত্র মসজিদ রয়েছে। আর সেখানে যেতে হয় ভারদের জমির ওপর দিয়ে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বিএসএফ কখনো বাধা দেয়নি। জন্মের পর থেকেই ভারতের জমির ওপর দিয়ে গিয়ে ওই মসজিদে নামাজ আদায় করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের এই সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষজনের মধ্য কখনো কোনও বিষয়ে বিরোধ দেখিনি। বাপ-দাদার আমল থেকেই এমন দেখছি। তারা যেভাবে চলাফেরা করতেন, আমরাও সেভাবে করি।’
হেছাব উদ্দিন নামের এক যুবক বলেন, ‘আমার জন্ম এই গ্রামে। জন্মের পর থেকে ভারতীয়দের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হতে দেখিনি। বিভিন্ন উৎসবে দুই দেশের সীমান্তবর্তী মানুষজন কুশল বিনিময় করি। একইসঙ্গে তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকি, তারাও আমাদের পাশে থাকেন।’
রায়ভাগ গ্রামের আবুল কালাম বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষে দুই দেশের নাগরিকদের জমি রয়েছে। সেখানে যে যার মতো আবাদ করেন। ফসল হলে কেটে নিয়ে যান। কখনো মনে হয় না আমরা দুই দেশের নাগরিক। এছাড়া, ভাষা এক হওয়ায় ভাব বিনিময় করতেও সমস্যা হয় না।’
খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কাওছার রহমান বলেন, ‘সীমান্ত ঘেঁষা রায়ভাগ ও বাগমারা গ্রামে একটি মাত্র মসজিদ আছে। মসজিদটিতে যেতে হয় সামান্য ভারতের জমির ওপর দিয়ে। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় কখনো এসব নিয়ে ঝামেলা হয়নি। বিজিবি ও বিএসএফের চেকপোস্ট থাকলেও গ্রামবাসীরা পরিচিত হওয়ায় বিনা বাধায় যাতায়াত করতে পারেন।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন