আওয়ামী কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, রুশ মুদ্রা রুবলের সঙ্গে টাকার বিনিময়কে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
রোববার (৫ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রুবলের সঙ্গে টাকা বিনিময় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার কিছুটা উদ্যোগ নিয়েছে। চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার এটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক জিনিসের দাম কমলেও বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়েনি এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে দাম বৃদ্ধির পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ওই রকম কমেনি।
হিরো আলমকে ঠেকাতে এমন অবস্থা হয়েছে, সেখানে আওয়াী লীগ নেতাদের অবস্থা কোন জায়গায় আছে, বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্য নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা নির্বাচনে আসুক। আমাদের অবস্থা তখন প্রমাণ হবে। জনগণ ভোট দিয়ে দেখাবে আমাদের অবস্থা কেমন আছে।
আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আমি মনে করি হিরো আলমকে দাঁড় করিয়ে নির্বাচনকে হাস্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের (বিএনপি) যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়, তবে জাতীয় নির্বাচনে তারা অংশ নেবেন। মানুষের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও বিএনপির লোকজন তাকে ভোট দিয়েছে। এটা দিয়ে নির্বাচনকে পরিমাপ করা যাবে না।
সারের দাম বৃদ্ধির পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, আমাদের পাঁচ ডলার যেটার দাম ছিল, সেটা পঁচিশ ডলারে আছে। তার মানে এখনো পাঁচ গুণ বেশি। একটন এমওপি ছিল ২১৯ কিংবা ২৫০ ডলার। সেটা এখনো ৬০০ ডলার। আমাদের মতো দেশ কীভাবে এ ব্যয় বহন করবে? এত টাকা আমরা কোথা থেকে দেবো? আমাদের তো কোনো গুপ্তধন নেই যে সে টাকা দিয়ে সার কিনে নিয়ে আসবো।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাফাই গেয়ে বলেন, সারা পৃথিবীতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আমরা-তো সেটা থেকে মুক্ত না। তেলের দাম যদি না কমে, যুদ্ধ যদি বন্ধ না হয়, পাঁচ ডলারের এলপিজি আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হচ্ছে পঁচিশ ডলারে। এটা ৬০ ডলারেও উঠেছিল। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে তেল-গ্যাস না কিনে মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিনছে। সেখান থেকে নিয়ে তারা জমিয়ে রাখছে। কাজেই এ নিষেধাজ্ঞা কেবল রাশিয়ার বিরুদ্ধেই না, আমাদের বিরুদ্ধেও।
উপনির্বাচনে কম ভোট পড়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ নির্বাচন যখন হবে, তখন ব্যাপক ভোট কাস্ট হবে। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন