আইন হলে তার কিছু অপব্যবহার হয়, এটা স্বাভাবিক এমন কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে পাশ কাটিয়ে কীভাবে অপরাধ করা যায়, সে ব্যাপারেও অপরাধীরা চেষ্টা করবে। কারণ, তারা সব সময় এক ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে। আইনপ্রণেতা ও পুলিশকে এখন প্রকৃত অপরাধীদের থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যে উদ্দেশ্যে এই আইন করা হয়েছে, সেই কথা কেউ বলে না। শুধু বলা হয়, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য এই আইন করা হয়েছে, যা মোটেও সঠিক নয়।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ‘নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ: রাষ্ট্রের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অতীতে আইন প্রণয়নের আগে অংশীজনদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হতো না। এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আইন তৈরি করা হয়। অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শ করেই তথ্য সুরক্ষা আইন করা হবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই, জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এখন আমরা বিশ্ব নাগরিক (গ্লোবাল সিটিজেন) হয়েছি। আবার বর্তমানে অনেক আন্তঃসীমান্ত অপরাধ হচ্ছে। এসব অপরাধ মোকাবিলায় মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশ এই আইন প্রণয়ন করেছে।
এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের নির্বাহী পরিষদের সদস্য সুমন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এডিসি মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন