পদ্মা নদীতে নাব্য সংকটের কারণে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে নদী পার হতে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে। আজ সোমবার সরেজমিন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি পারাপার করতে স্বাভাবিক থেকে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে। প্রতিটি ফেরি ঘাটে আসতে আধাঘণ্টা সময় লাগলেও বর্তমানে নাব্য সংকট ও ডুবোচরের কারণে ফেরিগুলোকে ঘুরে আসতে সময় লাগছে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বড় ফেরি চলাচলের জন্য কমপক্ষে প্রায় আট ফুট পানির গভীরতা প্রয়োজন। তবে পদ্মা নদীর বিভিন্ন চ্যানেলে ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় বড় ফেরি চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। অন্যদিকে নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে বড় ফেরিগুলো দুই কিলোমিটার ঘুরে ভাটিপথ দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল করছে। এতে ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আক্কাছ আলী জানান, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক ড্রেজার দিয়ে দ্রুত খননকাজ চলছে। খনন কাজ চলমান থাকলে ফেরি চলাচল ব্যাহত হবে না।
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাহউদ্দিন বলেন, ‘পদ্মা নদীতে পানি কমায় নদীর বিভিন্ন চ্যানেলে ডুবোচরের পাশাপাশি নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে নদী পার হতে স্বাভাবিকের থেকে দ্বিগুণ সময় লাগছে। ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ পদ্মা নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রেখেছে। আশা করছি, খনন কাজ চলমান থাকলে ফেরি চলাচল ব্যাহত হবে না।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন