হচ্ছে একটি বিদ্যালয়ের চার শতাধিক শিক্ষার্থী। নেই গেটম্যান, নেই কোন সংকেত। কান পেতে শব্দ শুনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পারাপার হতে হয় এই রেলক্রসিং দিয়ে। এ চিত্র গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়নের ভাওমান টালাবহ গ্রামে স্থাপিত ভাওমান টালাবহ মডেল হাইস্কুলের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চলের প্রধান রেল সড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার ভাউমান টালাবহ এলাকার এই রেল ক্রসিংটি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পারাপার হচ্ছে স্কুলটির শতশত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। স্কুলে প্রবেশের বিকল্প কোন পথ নেই। তাই প্রবেশদ্বারে অবস্থিত অরক্ষিত ওই রেল ক্রসিং ডিঙ্গিয়েই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয় প্রতিনিয়তই। কিছুক্ষণ পরপর উভয় পাশ থেকেই দ্রুত গতিতে ছুটে আসে ট্রেন। অরক্ষিত ক্রসিংটিতে নেই কোন সংকেত। আর তাই ট্রেন আসা যাওয়ায় কেবলমাত্র কান পেতে শব্দ শুনে পারাপারে সতর্ক থাকতে হয়। শধু শিক্ষার্থী নয়, ওই একই রেলক্রসিং দিয়ে পারাপার হয় বিভিন্ন যানবাহন। গেটম্যান বা সতর্কতা সংকেত না থাকায় অনেক সময় ভয়ানক গতির ট্রেনের মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে অনেক চালকও যাত্রীদের।
ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সবুজ হোসেন, আফসার, সোয়াইব জানায়, আমরা প্রতিদিন ওই রেল ক্রসিং দিয়ে পারাপার হই। অনেক সময় ট্রেন আসার শব্দ পেয়ে ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকি। আবার অনেক সময় রেল লাইনে উঠতেই দেখি ট্রেন চলে আসছে। তখন দৌড়ে সরে যাই। এভাবে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হারেজ আলী ঢাকাটাইমসকে জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা সবসময় এই ঝুঁকিপূর্ণ রেল ক্রসিং দিয়ে যাতায়াত করছে। এতে যে কোন সময় বড় কোন দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সরকারের কাছে আমাদের ও এলাকাবাসীর দাবি এখানে একজন গেটম্যান বসিয়ে নিরাপত্তা বিস্তার করার।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, স্কুলের শিক্ষার্থীদের চলাফেরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুতই এই রেলক্রসিংটির ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থাগ্রহণ করর।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন