মার্কিন কনসাল্টিং ফার্ম বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (বিসিজি) বলেছে ২০৪০ সাল নাগাদ এক লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতি হওয়ার পথে রয়েছে বাংলাদেশ। তাদের মতে ভোক্তাদের আশাবাদ, উদীয়মান আর্থিক খাতে উদ্ভাবন এবং তরুণ শ্রমশক্তির ওপর ভর করে এ পথে এগিয়ে চলেছে দেশটি। গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছে বিসিজি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ৬.৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোক্তাবাজার বিশে^র মধ্যে নবম বৃহত্তম। এ ছাড়া আভাস পাওয়া যাচ্ছে ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে মধ্যবিত্ত ও ধনিক শ্রেণি দ্রুত বাড়বে। এমনকি ২৮ বছর গড় বয়সের শ্রমশক্তি অর্থনীতিকে নতুন প্রাণ দেবে বলে আশার কথা বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বিসিজি লিখেছে, ‘দেশটি সহজেই উত্তর-পূর্বে তার প্রতিবেশী চীন বা পশ্চিমে তার মহাদেশীয় তুতো ভাই ভারতের কাছে সহজেই ঢাকা পড়ে যেতে পারত, কিন্তু অর্থনৈতিক শক্তির এ অঞ্চলে, বাংলাদেশ ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।’
২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়। ভারতের চেয়ে পাঁচ বছর পর এ তালিকায় যুক্ত হয় বাংলাদেশ। তবে এর পর ইতোমধ্যে প্রতিবেশী দেশটির চেয়ে বাংলাদেশের জিডিপি ছাড়িয়ে গেছে। এখন ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যবিত্ত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ঢাকা। তবে এ জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
বিসিজি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ের তারল্য, বৈদেশিক রিজার্ভ এবং মূল্যস্ফীতির চাপের ইস্যুতে স্বল্প মেয়াদে প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে। কিন্তু ৪১৬ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে কয়েক দশক ধরে আকর্ষণীয় রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দেশটি বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।
বিসিজির এক জরিপ বিশ্লেষণে ৫৭ শতাংশ উত্তরদাতা ‘এখনো বিশ্বাস করেন পরবর্তী প্রজন্ম তাদের চেয়ে আরও ভালো জীবন পাবে বিশেষ করে দক্ষতাভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিণত হলে’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘স্বল্প মেয়াদে অর্থনীতি কিছুটা অস্থিরতার মুখোমুখি হলেও, আমরা নিশ্চিত এ প্রাণবন্ত অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদে জোরালো প্রবৃদ্ধি দেখানো অব্যাহত রাখবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন