শেরপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের সময় মারপিট, ভাঙচুর, হুমকির অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হয়েছে। শেরপুর সদরের ভাতশালা এলাকার আশিক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়।
এ নিয়ে গত ২২ নভেম্বর শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হলো।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৫০-২০০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলায় ইতিমধ্যে ১৫জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী আশিক এজাহারে উল্লেখ করেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে রঘুনাথ বাজার এলাকায় বিএনপি নেতা সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলের বাসার সামনের একটি চায়ের দোকানে তিনি চা পান করছিলেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে ওই চায়ের দোকানসহ আশপাশের দোকানপাটে ভাঙচুর চালায়। এতে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়। তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বিক্ষোভকারীরা তাকে মারধর করে, নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
মামলায় যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. শওকত হোসেন, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান রূপন, জেলা বিএনপির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাসানুর রেজা জিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হাসান আনন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুলর হাসানাত ডিয়ন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. বাদশা মিয়া।
এদিকে, ঘটনার দিন জেলা বিএনপির সহসভাপতি শ্রমিক নেতা শওকত হোসেন স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য কয়েকদিন আগেই ভারতে অবস্থান করলেও এ মামলায় তাকে ৩৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছয় পুলিশসহ অন্তত ২১ জন আহত হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন