রাজধানীর চকবাজারের বাইতুন নুর মসজিদের সভাপতি মুনসুর আহম্মেদ হত্যার ঘটনায় নাতি-নাতনিসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার দুদিন অভিযান চালিয়ে চকবাজার, মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো নিহত মুনসুর আহম্মেদের নাতি মো. শাহাদাত মুবিন আলভী এবং নাতনি আনিকা তাবাসসুম, রাজু, রায়হান ও সাঈদ।
বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘গত ১৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে চকবাজারের খাজে দেওয়ান লেনের ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার নিজ বাসায় এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় হত্যাসহ দস্যুতার একটি মামলা হয়।’
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি সিরিঞ্জ পাওয়া যায়। মৃতদেহ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হয় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তখন ওই বাসার আশপাশসহ বেশ কয়েক স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনা শেষে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তির ডাক্তারি পড়ুয়া নাতনি আনিকা ও ইন্টারমিডেয়েট পড়ুয়া নাতি আলভীকে শনাক্ত করে চকবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর থেকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তাদের বন্ধু রাজু, রায়হান ও সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়।’
হত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নিহত মুনসুর আহম্মেদের নাতি-নাতনি ও বন্ধুরা মিলে প্রায় এক মাসে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। এ জন্য তাদের টাকার প্রয়োজন ছিল। টাকার জন্য তারা তাদের নানাকে টার্গেট করে। তারা একটি সুযোগের অপেক্ষা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন বাসার সবাই একটি বিয়েবাড়িতে গেলে তারা আগে থেকে বানিয়ে রাখা নকল চাবি দিয়ে ওই বাসায় প্রবেশ করে। এরপর তারা টাকা নিতে চাইলে মুনসুর আহম্মেদ বাধা দেন। তখন তারা সিরিঞ্জ দিয়ে অচেতন করার ওষুধ পুশ করে ও আঘাত করে। পরবর্তী সময়ে তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনাটি সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয় বলে মনে করেন পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন