বিদ্যুৎখাতে সীমাহীন দুর্নীতি-লুটপাট ও চরম বিশৃঙ্খলার দায় এখন জনগণের ঘাড়ে চাপাতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার। কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ কোম্পানি গুলোকে রাষ্ট্রীয় তহবিলের হাজার হাজার কোটি টাকা বিলিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। এখন এর দায় জনগণের ঘাড়ে ছাপানোর জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।
জনগণের দুর্দশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিদ্যুতের পাইকারি পর্যায়ে নতুন দাম ঘোষণার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আবদুল জলিল। যে কোনো দিন দাম বাড়ার ঘোষণা আসতে পারে। এই মূল্যবৃদ্ধিকে মূলত আওয়ামী লুটেরাদের লুটপাটের খেসারতের ফল হিসেবেই দেখছেন সাধারণ মানুষ।
বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর আবেদনের গণশুনানী হয়েছিল গত ১৮ মে। গণশুনানীতে বিদ্যুতের দাম প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল বিইআরসির টেকনিক্যাল কমিটি। আইন অনুযায়ী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করতে হবে।
রোববার (২ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দাম ঘোষণা করব। ৫০-৬০ পৃষ্ঠার একটা রায়, প্রতিটি শব্দ দেখে দিতে হয়। এ জন্য একটু সময় লাগছে। রায় ঘোষণার কাজটি ফাইনাল স্টেজে আছে।
বিইআরসির আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আবদুল জলিল বলেন, 'এটি ২-১ দিনের মধ্যেও হতে পারে। ২-১ দিনটা ৪-৫ দিনও হতে পারে।'
বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানো হয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) জন্য। পিডিবি গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। কারিগরি কমিটি তাদের সুপারিশে বলেছে, ভোক্তা পর্যায়ে দাম না বাড়ালে পাইকারি মূল্যহার কার্যকর করা সম্ভব হবে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই দাম বৃদ্ধির প্রভাব গ্রাহকদের ওপরও পড়বে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন