কয়েক বছর ধরে শোনা যাচ্ছে, তিস্তা নদীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প হাতে নিয়েছে চীন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চীন সরকার নিজ উদ্যোগ ও খরচে দুই বছর ধরে তিস্তার ওপর সমীক্ষা চালিয়ে একটি প্রকল্প নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, তিস্তা নদীর ভূপ্রাকৃতিক গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে। ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ২৭টি প্রকল্পের চুক্তি হয়েছিল। তার মধ্যে তিস্তা প্রকল্পও ছিল। প্রকল্পটি শুরুর পরপরই নানা জটে পড়ে। এখনও এই প্রকল্প বাস্তবায়নের আসায় উত্তরের মানুষ।
তিস্তা প্রকল্পে কী রয়েছে?
প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ভাটি থেকে তিস্তা-যমুনার মিলনস্থল পর্যন্ত নদীর প্রস্থ কমিয়ে ৭০০ থেকে ১০০০ মিটারে সীমাবদ্ধ করা হবে। নদীর গভীরতা বাড়ানো হবে ১০ মিটার। নদী শাসনের মাধ্যমে তিস্তা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হবে, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পানি বহনক্ষমতা বাড়ানো হবে, নদীর দুই পাড়ে বিদ্যমান বাঁধের মেরামত করা হবে, নদীর দুই পাড়ে মোট ১০২ কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হবে, ৫০টি গ্রয়েন স্থাপন করা হবে, ড্রেজিংয়ের মাটি ভরাট করে নদীর দুই পাড়ে ১৭০ বর্গকিলোমিটার ভূমি উদ্ধার করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্তাবিত তিস্তা নদীর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাথমিক প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, ৯৮৩ মিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, জমি উদ্ধার, নৌ-চলাচল বৃদ্ধিসহ তিস্তাপাড়ে কৃষি অঞ্চল, শিল্প-কারখানা, আবাসন প্রকল্প, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা হবে এবং তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা হবে। চিলমারী বন্দর থেকে ডালিয়ায় তিস্তা বাঁধ অংশে তিনটি নৌ-টার্মিনাল তৈরি করা হবে। নদীর দুই পাড়ে হাইওয়ে তৈরি করা হবে, যার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি হবে।
ভারতের বাধা কেন?
তিস্তা প্রকল্প পরিকল্পনার শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছিল, এতে ভারতের প্রবল আপত্তি রয়েছে। সেই বিবেচনায় সেটি অনুমোদনের জন্য একনেকে উত্থাপন করা হচ্ছে না। ভারত তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় চীনাদের উপস্থিতি চায় না। তাদের দাবি, শিলিগুঁড়ি করিডরের 'চিকেন নেকে’র কাছে তিস্তা প্রকল্পে বিপুল সংখ্যক চীনা নাগরিকের উপস্থিতি মেনে নেয়ার মতো নয়। অর্থাৎ চীনা প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের হুমকি হিসেবে দেখছে ভারত।
একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলামের মতে, বাংলাদেশের একটি নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে কাজ করবেন প্রকৌশলীরা। তারা তো চীনা সেনা বা গোয়েন্দা নন। আর তিস্তা নদী বাংলাদেশ অংশ থেকে 'চিকেন নেক' অনেক দূরে। তিস্তার দক্ষিণ-পূর্বদিকের ভাটি থেকে প্রকল্পের কাজ যত এগোবে, ভারত সীমান্ত থেকে দূরত্ব বাড়তে থাকবে। এ প্রকল্পে ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে ভারতের বাগড়া রয়েছে, তা স্পষ্ট।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, তিস্তা যেহেতু একটি অভিন্ন নদী, এ ব্যাপারে ভারতের মতেরও গুরুত্ব রয়েছে। অর্থাৎ তিস্তা নদী উন্নয়ন যদি বাংলাদেশ করতে চায়, তাহলে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে করতে হবে। একইভাবে অভিন্ন নদীতে যদি ভারতও কিছু করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করেই করা উচিত। কিন্তু ভারতের যদি আপত্তি না থাকে, তাহলে বাংলাদেশ অনায়াসে কাজ করতে পারে।
বাধা কাটছে...
তিস্তা প্রকল্প আশু বাস্তবায়নের দাবিতে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে গত কয়েক বছরে বেশ কিছু মানববন্ধন, সভা, সেমিনার হয়েছে। এবার ভারতের চাপে দীর্ঘদিন আটকে থাকা তিস্তা মহাপরিকল্পনার ফাইল নড়তে শুরু করেছে। গত সেপ্টেম্বরে একটি দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, সরকার আগামী জানুয়ারিতে তিস্তা প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছে। ওই খবরে দু’জন প্রতিমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে ভারত বাধা দেবে না।
‘তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন’ নামে এই প্রকল্পের নদীর বাম তীরের (ডালিয়া-চিলমারি) সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। প্রকল্পটির প্রস্তাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর এটির কাজ শুরু হবে। চীনের অর্থায়নে এই মহাপ্রকল্পের কাজ তিন ধাপে শুরু হবে। এর আগে গত ১৮ জুন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানিয়েছিলেন, চীনের সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা অর্থায়নে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার মানুষের ভোগান্তির অবসান হবে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চায়না পাওয়ার কোম্পানি দুই বছর ধরে তিস্তা পাড়ে ‘তিস্তা প্রকল্প’ বাস্তবায়নে নকশা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করেছে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই তিস্তা প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করা হবে। এ বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, এরইমধ্যে প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশন থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) পাঠানো হয়েছে। এটি শেষ হলে আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বর চীনের সঙ্গে চুক্তি হবে। এর পরে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করা হবে।
তিস্তা প্রকল্পে চীনের স্বার্থ কী?
বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার (২০০৭-০৯) পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, চীন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ হতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে তাদের যা যা করা দরকার, তাই করছে। চীন এখন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)’ বা অন্যান্য মাধ্যমে প্রভাব বাড়াতে চেষ্টা করছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে তিস্তা প্রকল্পে চীন এগিয়ে আসছে। চীন বাংলাদেশকে যে অর্থ দিচ্ছে, তা বাণিজ্যিক সুদের হার মিলিয়ে ফেরত দিতে হবে। তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম বলেন, চীনের রাজনৈতিক স্বার্থের বিষয়টি দেখতে গেলে সেটা আমাদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে না। চীন আসলে তার বিআরআইর আওতায় বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কর্মকৌশলের বিপরীতে নিজেদের বলয়কে শক্তিশালী করতে চাইছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ভারতের পছন্দ না হলেও তিস্তা নদীর ব্যবস্থাপনার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, চীনের পক্ষ থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের ওপর কোনো শর্তারোপের বিষয়ও নেই, শুধু তাদের ঋণে এটি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। এটিকে এই মুহূর্তে আমরা বাংলাদেশ সরকারের ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতির একটি চমৎকার ও সফল উদাহরণ বলতে পারি।
তিস্তা প্রকল্প কতটা জরুরি
যেহেতু বাংলাদেশ-ভারত তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান করতে পারছে না, অথচ বন্যা ও শুষ্ক মৌসুমে তিস্তাপাড়ের মানুষ নানা সংকটে পড়ে। তিস্তার সঙ্গে বাংলাদেশের ২৫টি নদীর সম্পর্ক রয়েছে। তিস্তা প্রকল্পের আওতায় নদীটি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে আরও ১০ মিটার গভীর হবে, দুই পাড়ে ১৭৩ কিলোমিটার বাঁধ দেয়া যাবে। ফলে বন্যা প্রতিরোধ করে দুইপাড়ের ফসল ও ঘরবাড়ি রক্ষা পাবে।
জানা যায়, পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দুই পাড়ে পরিকল্পিত স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলা হবে। এছাড়া নদী খনন ও শাসন, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষিসেচ ব্যবস্থা, মাছচাষ প্রকল্প পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে ৭ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এতে করে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি হবে।
অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম বলেন, ভারত অনেকদিন ধরে কথা দিয়েও তাদের রাজনৈতিক হিসাব মেলাতে না পেরে তিস্তা চুক্তি করতে পারছে না। অন্যদিকে বাংলাদেশে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখন ভারতও মেনে নিয়েছে, তিস্তা প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি হলে আর ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তির প্রয়োজন পড়বে না।
সময় সংবাদের রংপুর ব্যুরো প্রধান রতন সরকার বলেন, তিস্তা চুক্তির আশা এখন আর তিস্তাপাড়ের মানুষের নেই। তিস্তা পাড়ের মানুষ এখন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়। তিস্তা নদী থেকে প্রকৃত সুবিধা পেতে চায়। তাদের দাবি, তিস্তা চুক্তি হোক বা না হোক; প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
তিস্তা চুক্তি নাও হতে পারে!
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তা চুক্তি সই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে তা আটকে যায়। এরপর ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে আসেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সালে মমতাকে নিয়ে তিনি বাংলাদেশ সফর করেন। সেই সফরে আশ্বস্ত করা হয়, তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো হবে। কিন্তু তিস্তা সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি এখনও। গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে তিস্তা চুক্তির কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে যতদিন মমতা ব্যানার্জি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদি যতদিন ক্ষমতাসীন থাকবেন, তিস্তা চুক্তি অধরা থেকে যাবে।
পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, তিস্তার খসড়া চুক্তিতে পানির যে হিস্যা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানবে না। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দৃঢ় ধারণা, তিস্তার পানিবণ্টনের প্রস্তাবিত ফর্মুলাটি ওদের স্বার্থের বিরুদ্ধে।
ইউরেশিয়া রিভিউয়ের ‘শুড ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ ফাইন্ড অলটারনেটিভ টু তিস্তা ওয়াটার শেয়ারিং ডিল?’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিস অ্যান্ড এনালাইসিসের সহযোগী ফেলো আনন্দ কুমার উল্লেখ করেছেন, অদূর ভবিষ্যতে তিস্তা চুক্তি নাও হতে পারে। কারণ হিসেবে বলেছেন, ভারতে রাজনীতিতে বিরোধী অবস্থানে রয়েছেন মোদি ও মমতা। তিস্তা চুক্তি হলে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবেন মোদি। তা হয়তো মমতা পছন্দ করবেন না। আবার ভারতে ক্ষমতাসীন দল চুক্তির বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের ওপর আস্থা নাও রাখতে পারে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে তাদের রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। ফলে তিস্তা চুক্তির কোনো বিকল্প ভাবতে হবে।
ওই প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের নীতি ভারতপন্থি। তাই তিস্তা চুক্তিতে ঘাটতি থাকার কারণে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এই ইস্যু ব্যবহার হতে পারে। যেহেতু তিস্তা পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। তিস্তার পানির সাহায্যে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের কৃষিকাজে সেচ দেয়া হয়। তাই চুক্তি স্বাক্ষরে মমতার সম্মতি গুরুত্বপূর্ণ।
সমালোচকরা বলছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে বাংলাদেশ ভুগতে পারে না। কারণ, তিস্তা চুক্তি না হওয়ার দায় ভারতের কানো অঙ্গরাজ্যের হতে পারে না। কারণ চুক্তি সম্পাদন দুটি দেশের মধ্যে বিবেচ্য বিষয়। আন্তর্জাতিক নীতি অনুসারে, দু’দেশের চাহিদার সমন্বয়ে চুক্তি হয়ে থাকে। তিস্তা চুক্তি নিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের দায় ভারতের, বাংলাদেশের নয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন