আগামী ২৫ অগাস্টের মধ্যে হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।
খালাস পাওয়ার পরও চট্টগ্রামের একটি হত্যা মামলার আসামি আবুল কাশেমকে কীভাবে সাত বছর ধরে কনডেম সেলে রাখা হল, সে বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
আগামী ২৫ অগাস্টের মধ্যে হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।
এ বিষয়ে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার জানে আলম হত্যা মামলার আসামি আবুল কাশেম জজ আদালতে মৃত্যুদণ্ড পেলেও ২০১৬ সালে হাই কোর্ট থেকে খালাস পান। কিন্তু এখনও তার মুক্তি মেলেনি।
রিট আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আবুল কাশেমের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে এলে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের নজরে আনেন। আদালত তখন তাকে লিখিত আবেদন করতে বলে।
ওই দিনই আবুল কাশেমের মুক্তি চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়। একইসঙ্গে ঘটনাটির বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয় সেই রিট আবেদনে। আবুল কাশেমের ছেলেও রোববার এ বিষয়ে আলাদা একটি আবেদন করেন।
সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০২ সালের লোহাগাড়া রাজঘাটা আমির খান চৌধুরী পাড়ায় জানে আলেম হত্যাকাণ্ডের পর মামলা হলে তাতে আবুল কাশেমকেও আসামি করা হয়। ওই মামলায় ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই আবুল কাশেমসহ ১২ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ওই রায়ের সময় আবুল কাশেম পলাতক ছিলেন।
এরপর ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি করে আবুল কাশেমসহ পাঁচ আসামিকে খালাস দেয়। কিন্তু করণিক ভুলের কারণে হাই কোর্টের ওই রায়ে পলাতক আবুল কাশেমের বিষয়টি কার্যকর অংশে অন্তর্ভুক্ত করা ছিল না।
সে কারণে একই বেঞ্চ পরে ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সম্পূরক আদেশে আবুল কাশেমকে খালাস দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করে।
অন্য একটি মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে আবুল কাশেম চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রয়েছেন।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, “কার কারণে, কী জন্য অথবা কার অবহেলার কারণে খালাস পাওয়ার পরও আবুল কাশেম সাত বছর ধরে কনডেম সেলে বন্দি আছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে ২৫ অগাস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।”
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন