কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারনের পক্ষে আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদের আদালতে দুর্নীতির মামলায় তাঁরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আসামি প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের ধার্য দিন ছিল। তাঁদের পক্ষের আইনজীবী আংশিক উপস্থাপন করেন। এ সময় তাঁদের দুজনকে দুর্নীতিতে জড়িত নয় দাবি করে বলা হয়, তাঁরা নির্দোষ। পরে আদালত ১৪ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীকে আদালতে আনা হয়। পরে তাঁদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে দুদক যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আদালতকে জানায়, চুমকি গৃহিণী হয়েও কোটিপতি। তাঁর নামে রয়েছে দুটি বাড়ি, ফ্ল্যাট ও গাড়ি। আছে প্রায় অর্ধশত ভরি সোনা ও ব্যাংক হিসাবে নগদ টাকা। অথচ প্রদীপের নামে কোনো সম্পদই নেই। তাঁর ‘ঘুষ ও দুর্নীতি’র মাধ্যমে অর্জিত অর্থে স্ত্রী এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের মামলায় প্রদীপসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। গত ৩১ জানুয়ারি এ রায় দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে মামলা করে। গত বছরের ২৬ জুলাই দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পত্তি অর্জনের মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুদক অভিযোগপত্র দেয়। একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন