পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে টিকটক করে গ্রেপ্তার হওয়া বাইজিদ তালহার পটুয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে পটুয়াখালীর লাউকাঠি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামের মৃধা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় ঘরে থাকা বাইজিদের মেজ ভাবি হাদিসা বেগম জানান, আট থেকে নয়টি মোটরসাইকেলে ২০-২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাড়িতে উপস্থিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বড় বড় রামদা, দা, কুড়াল দিয়ে ঘরের সামনের ও পশ্চিম পাশের টিনের বেড়া কুপিয়ে ভাঙচুর করে তারা। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ঘরে প্রবেশ করে মালামাল তছনছ করে। সন্ত্রাসীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখেই হাদিসা পাশের ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন।
হাদিসা জানান, তার স্বামী মো. সোহাগ মৃধা পটুয়াখালী শহরের ফায়ার সার্ভিস অফিসে কর্মরত থাকলেও ঘটনার সময় তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘরে তিনি ও তার মেয়ে তিন বছর বয়সী ফাতিমাতুজ্জোহরা উপস্থিত ছিল।
পাশের ঘরের জাহেদা আক্তার জানান, টিন ভাঙচুর ও কোপানোর শব্দ শুনে আমরা দৌড়ে এসে দেখি ২০-২৫ বছর বয়সী অনেকগুলো পোলাপান ঘরের টিন ভাঙচুর করে। তাদের অপরিচিত লাগছে। তবে তাদের কথাবার্তায় পটুয়াখালীর আঞ্চলিকতা রয়েছে।
জাহেদা জানান, হাদিসা ভাবির স্বামী সোহাগের নতুন মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করেছে।
খালেক মৃধা জানান, ‘হামলার সময় সন্ত্রাসীরা বলছে এ রকম ভিডিও করা ঠিক হইছে? এই বলেই তারা ঘরের চারদিকের টিনের বেড়া কুপিয়েছে’।
ওই ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার মিজানুর রহমান জানান, মোবাইল ফোনে তার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিষয়টি জানিয়েছেন। তারপর তিনি চৌকিদারকে ওই বাড়িতে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে যে, যারা এ হামলা ও ভাঙচুর করেছে তারা সবাই অপরিচিত। তবে সোহাগের স্ত্রী হাদিসা বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কয়েকজনকে দেখলে তিনি চিনতে পারব’।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সদর থানার এসআই ছলিমুর রহমান জানান, ‘ওসি সাহেবের নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। ঘরের টিন কুপিয়েছে, কিছু মালামাল ভাঙচুর করেছে। সকলের সঙ্গে কথা বলছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব’।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন