মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাট থেকে নিহালপুর পর্যন্ত নদীরক্ষা বাঁধটি হুমকির মুখে পড়েছে। এ বাঁধ দিয়ে প্রতিনিয়ত বালুবোঝাই ট্রাক চলাচল করছে। প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের বিশাল বিশাল বালুর স্তুপ থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু যাচ্ছে এ বাঁধের ওপর দিয়ে। এসব ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে ইতিমধ্যে বাঁধের কয়েক জায়গায় ধস নেমেছে।
এছাড়া নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বাঁধের রাস্তাটি। এসব বালুবোঝাই ট্রাকের চলাচল বন্ধ না করা গেলে যেকোনো সময় যমুনার গর্ভে বিলীন হবে বাঁধ, এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার আরিচা ঘাট থেকে নিহালপুর পর্যন্ত যমুনা নদীর পাড়রক্ষা বাঁধটির কয়েক জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ বাঁধের মাঝ বরাবর একটি এবং উত্তর পাশে তিনটি বালুর স্তুপ করেছেন বালু ব্যবসায়ীরা। এখান থেকে প্রতিদিন বাঁধের ওপর দিয়ে বালুবোঝাই করে শত শত ট্রাক যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায়। নদীতে পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে বর্তমানে বাঁধটি ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছে। এরপরও মাত্রাতিরিক্ত ওজন নিয়ে ট্রাকগুলো যাবার কারণে কয়েক জায়গায় ইতিমধ্যে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বালুবাহী ট্রাকের যাতায়াতে তেওতা জমিদার বাড়ি পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়কটির অন্তত ১৫ জায়গায় ভেঙে গেছে। বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
স্থানীয় মেম্বার মাসুদ রানা জানান, বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিদিন বালুবোঝাই ট্রাক চলাচল করছে। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও কেউ তা মানছেন না। বর্ষা মৌসুমে এভাবে ভারি যানবাহন চলাচল করলে যেকোনো সময় বাঁধটি ভেঙে যেতে পারে।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তবে অবশ্যই বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করবো।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বর্ষা মৌসুমে নদীর রক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে বালুবোঝাই ট্রাক চলাচল করতে দেওয়া হবে না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন