আওয়ামী লুটেরাদের হাতে পাচার হয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের টালমাটাল বাজারে বেকায়দায় পড়ে আরেক দফা টাকার মান কমিয়েছে অবৈধ হাসিনা সরকার। সোমবার প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময়মূল্য ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাত্র সাতদিন আগে গত সোমবার ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছিল। এরপর আরও ১০ পয়সা বাড়ানো হয়। এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন দফা কমল টাকার মান।
তবে সরকার ডলারের দাম ৮৮ টাকা নির্ধারণ করলেও, আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কোথাও খোলা বাজারে এক ডলার এর দাম ১০০ টাকার নিচে পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন মানি-এক্সচেঞ্জ এবং রেমিট্যান্স হাউসে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০১ থেকে ১০৪ টাকায়।
জানুয়ারি মাসের শুরুতে ডলারের বিনিময়মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর ২৩ মার্চ তা আবার ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়েছিল। গত ২৭ এপ্রিল বাড়ানো হয় ২৫ পয়সা। তাতে ১ ডলারের বিনিময়মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ৯ মে ডলারের বিনিময়মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে। আর ডলারের চাহিদা বেশি হওয়ায় ধীরে ধীরে দাম বাড়াচ্ছে। এভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও অর্থনীতিবিদদের অনেকে ডলারের দাম চাহিদা-জোগানের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে।
জানা গেছে, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও থাইল্যান্ডে আওয়ামী লুটেরাদের হাত ধরে দেদার পাচার হচ্ছে ডলার। আর এতে ভয়াবহ সঙ্কটে পড়েছেন আমদানিকারকরা। সেই সাথে প্রবাসী আয়ও কমে গেছে। এ কারণে প্রতি মাসে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে ডলারের। এ কারণে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে জোগান দিতে হচ্ছে আমদানির খরচ। এখন যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোও সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপ রয়েছে রিজার্ভের হিসাব সঠিক নিয়মে করার। সেটি করতে গেলে রিজার্ভের অর্থে গঠিত রপ্তানিকারকদের ঋণ তহবিল, সরকারি প্রকল্প ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণ এবং সোনালী ব্যাংকে রাখা আমানত রিজার্ভের হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে। এতে রিজার্ভ কমবে ৭০০ কোটি ডলারের বেশি। এখন রিজার্ভ রয়েছে ৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন