রক্তশূন্য বৃদ্ধ মো. আবদুল হক ঢ়াড়ির (৯০) জীবন বাঁচাতে ও পজিটিভ রক্তর খোঁজ করা হচ্ছিল। এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শেষমেশ ফেসবুকে দেয়া হয় পোস্ট।
বিষয়টি নজরে এলে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল রক্ত দিতে ছুটে যান সেই বৃদ্ধার জন্য। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা সদরের স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার গিয়ে ওই বৃদ্ধর জন্য রক্ত দেন ইউএনও। এতে জীবন বেঁচে যায় ওই বৃদ্ধের।
অসুস্থ মো. আবদুল হক ঢ়াড়ি উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের যৌতা গ্রামের মৃত সত্তার ঢ়াড়ির ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে উপজেলায় ব্লাড ব্যাংক খুলে দেয়ার কথা জানিয়েছেন ইউএনও।
মো. মোশারফ নামে এক যুবক যুগান্তরকে জানান, বৃদ্ধ মো. আবদুল হক ঢ়াড়ি দীর্ঘদিন ধরে রক্তশূন্যতায় ভুগছিলেন। এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করে রক্ত না পেয়ে ওই বৃদ্ধর পুত্রবধূ মনিরা বেগম তাকে জানান। মোশারফ ফেসবুকে ও পজিটিভ রক্তর সন্ধানে পোস্ট করেন।
বিষয়টি স্থানীয় ইউএনও মো. মহিউদ্দিন আল হেলালের নজরে এলে তিনি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার গিয়ে ওই বৃদ্ধর জন্য রক্ত দেন। এ ঘটনার পর প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও।
ইউএনও মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল যুগান্তর জানান, ফেসবুকে পোস্ট দেখে ওই বৃদ্ধকে তিনি রক্ত দিয়েছেন। ইউএনও হওয়ার পর এই প্রথমসহ তিনি ২৩ বার রক্তদান করেছেন। তিনি যুগান্তরের কাছে উপজেলায় ব্লাড ব্যাংক খুলে দেয়াসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন