দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) উন্নয়নে কাজ করবেন। তবে বাধা এলে আগের মতো নীরব প্রতিবাদ নয়, প্রতিহত করব-এমন মন্তব্য করেছেন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
নাসিকে তৃতীয় মেয়াদে সদ্যনির্বাচিত এই মেয়র আরও বলেন, চুনকা-ওসমান পরিবারের পারিবারিক দ্বন্দ্ব নেই। যদি থাকে, সেটি হলো-ন্যায়-অন্যায়, সত্য প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করার দ্বন্দ্ব। যা কখনো, কখনো উন্নয়ন কাজের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত করে।
যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মেয়র আইভী। এ সময় তিনি নারায়ণগঞ্জ নগর উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা, কাজ করার প্রতিবন্ধকতা, স্থানীয় রাজনীতি, সিটি করপোরেশন ঘিরে টেন্ডার সিন্ডিকেট, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও নির্বাচনের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বিভিন্ন অভিযোগসহ নানা বিষয়ে খোলামেলা আলাপ করেন। রোববার নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকায় আইভীর নিজ বাসস্থান ‘চুনকা কুটিরে’ দীর্ঘ সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কাজী জেবেল। এর চুম্বকীয় অংশ নিচে দেওয়া হলো-
যুগান্তর : তৃতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আপনার প্রধান চ্যালেঞ্জ কী?
আইভী : আমার প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করা। এর মধ্যে রয়েছে-শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পারের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাক্সক্ষা হচ্ছে কদমরসুল ব্রিজ। ৫৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে বাংলাদেশের প্রথম ক্যাবল-স্টেইড ব্রিজ সেখানে নির্মাণ করব। এ ব্রিজটির ভিত্তিপ্রস্তর দ্রুত স্থাপন করা এবং কাজ শুরু করাই আমার অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। এছাড়া নগরভবনকে দশতলায় উন্নীত করার আরেকটি প্রকল্প আমার রয়েছে। পাশাপাশি আছে-নগরীর ময়লা আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা, আদমজীতে ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ লেক খনন এবং ২ দশমিক ৮ কিলোমিটার বাবুরাইলখাল খনন করা। এই খালের সঙ্গে আরও এক কিলোমিটারের বেশি যুক্ত করব। এটি শীতলক্ষ্যা নদীর সঙ্গে ধলেশ্বরী নদীকে যুক্ত করবে। পাশাপাশি শেখ রাসেল পার্কের কাজ দ্রুত শেষ করব। এছাড়া আমি আবার জয়ী হওয়ায় আরও কিছু নতুন নতুন কাজ হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-সোনাকান্দা স্টেডিয়াম, শেখ কামাল মাঠসহ ১২-১৩টি খেলার মাঠ নির্মাণ করা।
যুগান্তর : উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও জনগণকে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধার মুখে পড়েন কিনা?
আইভী : আমার অনেক উন্নয়ন কাজে বাধা দেওয়া হয়। পার্ক করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছি, মাঠ করতে গিয়েও বাধার মুখে পড়েছি। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে চিত্তরঞ্জন মাঠ করতে গিয়ে বাধা দিয়ে অনেকদিন কাজ আটকে রাখা হয়। এ ধরনের বাধা আছে, বাধা থাকবেই। বাধা অতিক্রম করেই কাজ করেছি। এ কারণে অনেক কাজ সময়মতো শেষ করতে পারিনি। সামনের দিনেও যে বাধা আসবে না, তা আমি মনে করি না।
যুগান্তর : কখন কীভাবে কারা বাধা দিয়েছে?
আইভী : বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজন বাধা দিয়েছে। কখনো গোষ্ঠী ও ব্যক্তির কাছ থেকে বাধা এসেছে। এটা সবাই জানেন। সামনের দিনে এর পুনরাবৃত্তি হলে জোরেশোরে প্রতিবাদ করব। এতদিন নীরবে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করেছি, নীরবে প্রতিবাদ করে সমাধান করব। সামনে কোথাও উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দেওয়া হলেই সেটা আর করব না। জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করব।
যুগান্তর : এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অন্যান্য বারের তুলনায় আপনার ভোট কমেছে। এতে কি প্রমাণিত হয় আপনার জনপ্রিয়তাও কমেছে?
আইভী : না, ভোট কমেছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের কারণে। এটা নতুন টেকনোলজি। এ কারণে ভোটগ্রহণে খুব ধীরগতি ছিল। এ কারণে মাত্র ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। অথচ ২০১৬ সালে ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ভোট পড়ার হার ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ হলে আমি ঠিকই এক লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হতাম। যেহেতু নতুন মেশিন, মানুষ ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া জানত না। তাই ভোট পড়ার হার কম ছিল।
যুগান্তর : চুনকা ও ওসমান পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব আলোচনা রয়েছে। সামনের দিনে ওই দ্বন্দ্ব নিরসন নাকি প্রকট-কোন দিকে যেতে পারে?
আইভী : আমাদের সঙ্গে পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমাদের সঙ্গে তাদের (ওসমান পরিবারের) কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। আমরা কোনো দখলদারিত্ব বা কর্তৃত্বপরায়ণের চেষ্টা করি না। সুতরাং পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্ব নেই। দ্বন্দ্ব যদি থেকে থাকে তা হলো ন্যায়-অন্যায়ের দ্বন্দ্ব, সত্য প্রতিষ্ঠার দ্বন্দ্ব ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো দ্বন্দ্ব আছে। এসব দ্বন্দ্বের কারণে সিটি করপোরেশনের কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়। আমি একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। সেটা হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জেও একটি মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। শেখ রাসেল শিশু পার্কের লাগোয়া ৮৪ একর ওয়াকফ করা জায়গায় ওই মসজিদ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর আমাকে দিয়ে উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আমি ভিত্তিপ্রস্তর করায় একটি মামলা করে ওই মসজিদের নির্মাণকাজ ছয় মাস ধরে আটকে রয়েছে। ওই মামলাটি করা হলো আমার ও ঠিকাদারের নামে। কেন এটা করা হলো? এর কারণ হচ্ছে, আমি কেন ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করলাম। একইভাবে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে বারবার প্রশাসনের কাছে বলার পরও কোনো সুরাহা হয়নি। এসব সিটি করপোরেশনের কাজ হলে আমি করেই ছাড়তাম। যেহেতু অন্য দপ্তরের কাজ তাই আমি এ ব্যাপারে কিছু বলিনি।
যুগান্তর : সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নির্বাচন কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করেন?
আইভী : নির্বাচনের সময়ে অনেকেই (বিএনপি) নির্বাচনি কৌশল নিয়েছে। কতক্ষণ সেই কৌশল থাকে তা দেখতে হবে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতির বিষয়ে বলব, নির্বাচনে যখন প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম, তখন কেন্দ্রীয় অনেক নেতা নারায়ণগঞ্জ এসেছিলেন। তারা হয়তো এখানকার অবস্থা জেনেছেন। তারা জেনেশুনে-বুঝেই বিভিন্ন ইস্যুতে কমিটিগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এছাড়া এসব কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। তবে আমি মনে করি, অনেক কিছুরই পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
যুগান্তর : যেসব কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো আপনার ঘনিষ্ঠ অনেকের পদ ছিল। সে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন।
আইভী : কমিটির কে আমার কাছের, আর কে আমার দূরের সেভাবে কখনো দেখিনি। বিষয়টি হলো-কারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী এবং শেখ হাসিনার কর্মী কিনা? তারা যদি দলের কর্মী হতেন তাহলে মাননীয় দলনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পালন করতেন। সেই নির্দেশ তো তারা পালন করেনি। সেখানে কে কাছের, কে দূরের তা দেখার অবকাশ নেই। দেখার ব্যাপার হলো দলীয় কমান্ড তারা মানল কী মানল না।
যুগান্তর : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের স্বজনদের কবরে শশ্মানের পুকুরের মাটি ফেলার অভিযোগ রয়েছে-এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?
আইভী : এটা অসত্য অভিযোগ। ওই অভিযোগ ওঠার পরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে ওই অভিযোগ অসত্য। উনি নিজেও জানেন ওই অভিযোগ সঠিক নয়। তবুও কেন বারবার এ অভিযোগ আসছে তা জানি না।
যুুগান্তর : সিটি করপোরেশনের টেন্ডার ঘিরে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ কি অস্বীকার করবেন?
আইভী : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে কোনো সিন্ডিকেট ব্যবসা নেই। এটা সম্ভবও নয়। সরকার ই-টেন্ডারের মাধ্যমে টেন্ডার করে। ওই প্রক্রিয়ায় কেউ তিন-চারটি কাজ পেলে আমার কিছুই করার থাকে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কেউ তিন-চারটি কাজ একসঙ্গে পেলে আমাদের সমস্যা হয়। তারা একটা কাজ শেষ করে আরেকটি কাজ ধরে। এতে জনগণ ও আমি ক্ষতির সম্মুখীন হই যে, সময়মতো কাজ শেষ হয় না।
যুগান্তর : আপনার জয়ের নেপথ্যে বারবার জামায়াত-বিএনপির ভূমিকা থাকার অভিযোগ রয়েছে। এটা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আইভী : এ নির্বাচনের ফলাফল আবারও প্রমাণ করেছে কাদের ভোটে আমি মেয়র নির্বাচিত হই। ২০১১ সালের নির্বাচনে বলা হয়েছে, বিএনপি-জামায়াতের ভোট নাকি আমি পেয়েছি। ২০১১, ২০১৬ ও ২০২২ সালের নির্বাচনের ফলাফল দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, জামায়াত-বিএনপির ভোট তাদের ঘরেই গেছে। আমি সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। এটা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার। কিন্তু আমি নির্বাচিত হওয়ার পর সবাইকে নিয়ে কাজ করি। কে কোন দল করে তা আমি দেখি না।
যুগান্তর : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অনেক স্থানে এখনো ময়লার ভাগাড়। এতে জনদুর্ভোগ হয়। এর সমাধান কী?
আইভী : ময়লার সমস্যা সমাধানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি বর্জ্য থেকে ৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছি। খুব শিগগিরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এ প্রকল্পের দেখভাল করছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ভাই। আশা করছি, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে ময়লার যে সমস্যা আছে তা আর থাকবে না। কারণ ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতিদিন ৬০০ টন ময়লা-আবর্জনা দিতে হবে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতিদিন ৬০০-৭০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ওই বর্জ্য দিলে নারায়ণগঞ্জ শহরে আর ময়লা-আবর্জনা থাকবে না। তখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাহিদা মেটাতে উলটো জনগণের কাছ থেকে জোর করে বর্জ্য নিয়ে যেতে হবে। তখন আর কেউ ময়লার নগরী-এমন অভিযোগ আর দিতে পারবে না।
যুগান্তর : কবে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হতে পারে?
আইভী : আবারও কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে কী হবে তা বুঝতে পারছি না। তবে আশা করছি আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর করা যাবে।
যুগান্তর : নগরীর যানজট ও জলজট নিরসনে আপনার পরিকল্পনা কী?
আইভী : যানজট আমার একার পক্ষে নিরসন করা সম্ভব নয়। এটা দেখার দায়িত্ব আমার না। এটা ট্রাফিক বিভাগ দেখে। তবে এটা সত্য শহরের ভেতরের ট্রাক ও বাস টার্মিনাল সরাতে হবে। আমি পঞ্চবটিতে ট্রাক টার্মিনাল করে দিয়েছি। সেখানে ট্রাক না গিয়ে শহরে রাস্তার পাশে পার্কিং করে। আর বাসের জন্য শহরের বাইরে টার্মিনাল করা হবে।
যুগান্তর : চাঁদার বিনিময়ে অবৈধ যানবাহন চলাচল করার অভিযোগ আছে। পরিবহণ চাঁদাবাজির সঙ্গে সিটি করপোরেশনের সম্পৃক্ততা আছে কিনা?
আইভী : সিটি করপোরেশনের কেউ কখনো এর সঙ্গে জড়িত নয়। একটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেখাতে পারবেন না যারা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। নারায়ণগঞ্জের পরিবহণ সেক্টর কাদের নিয়ন্ত্রণে, কারা পরিচালিত করে তা সারা বাংলাদেশ জানে। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এত দুঃসাহস হয়নি যে পরিবহণ নিয়ন্ত্রকদের বিরুদ্ধে গিয়ে চাঁদাবাজি করবে।
যুগান্তর : সিটি করপোরেশন পরিচালনায় প্রশাসনের সহায়তা পান কিনা?
আইভী : প্রশাসন অসহযোগিতা করে না। প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত থাকে। কোনো অভিযান চালাতে হলে সিটি করপোরেশনকে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ চাইতে হয়। এ কারণে সিটি গভর্নেন্স ব্যবস্থা চালু করা দরকার। আস্তে আস্তে সিটি গভর্নেন্স চলে আসবে।
যুগান্তর : আপনাকে ধন্যবাদ
আইভী : যুগান্তর পরিবারকেও ধন্যবাদ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন