সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আর্থিক লেনদেনের ছয়টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, শাবিপ্রবির যেকোনো কর্মসূচিতে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা যৌথ উদ্যোগে তহবিল গঠন করে থাকেন। এ আন্দোলনেও সেভাবেই অর্থ সংগ্রহ চলছিল। তবে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রকেট, নগদ, বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ মোট ছয়টি অ্যাকাউন্ট থেকে তারা কোনো লেনদেন করতে পারছেন না। এমনকি ওই নম্বরগুলোতে ফোন কল আসছে না এবং যাচ্ছেও না।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের বিদ্যুতের তার কেটে দিয়েছিলেন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। টানা ২৯ ঘণ্টা সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করে দেওয়া হয়।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তার পদত্যাগ বা সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগে রোববার বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে উপাচার্য পুলিশ ডেকে আনেন তাকে উদ্ধার করতে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
১৯ জানুয়ারি বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করে ২৩ জন শিক্ষার্থী। একই দাবিতে পরদিন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল বের করেন কয়েকশ’ শিক্ষার্থী। এরপর বিষয়টি সমাধানে শিক্ষামন্ত্রী আলোচনা করলেও কোন ফলাফল ছাড়াই তা শেষ হয়। ফলে এখনো আন্দোলন ও অনশন চলছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন