তীব্র গ্যাস সংকটে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চলখ্যাত গাজীপুর-কোনাবাড়ী এলাকার শত শত কলকারখানায় উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপায়ান্তর না দেখে কেউ কেউ কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। দেশব্যাপী চাহিদার চেয়ে সরবরাহের পরিমাণ প্রায় ৪৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় এ সংকটের পরিধি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী দুই সপ্তাহে ঘাটতি আরও বাড়বে। এ অবস্থায় শিল্প উৎপাদন অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে। পেট্রোবাংলার সাবেক ও বর্তমানে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি বিবেচনায় এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তীব্র গ্যাসের সংকট।
গাজীপুর, সাভার ও কোনাবাড়ী শিল্পাঞ্চলের ভুক্তভোগী ব্যবাসায়ীরা বলছেন, গ্যাস পাইপলাইনের চাপ ৩ পিএসআইয়ের (প্রেশার পার স্কয়ার ইঞ্চি) নিচে নেমে গেছে। এতে দিনের বেলায় বেশিরভাগ কারখানা চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। সক্ষমতা অনুসারে উৎপাদনে না থাকায় তারা আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, নিটিং কারখানাগুলোর সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ঠিক সময়ে পণ্য দিতে না পারার ঝুঁকিতে থাকা রপ্তানিকারকরা ক্রয়াদেশ বাতিলের আশঙ্কা করছেন।
সংকটের গুরুত্ব বিবেচনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত বুধবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে উল্লেখ করেছেন, ‘কারিগরি কারণে ১২ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিতাস গ্যাস অন্তর্গত এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করতে পারে। এজন্য তিতাস দুঃখ প্রকাশ করছে।’
জ্বালানি খাতের শীর্ষ সংস্থা পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান যুগান্তরকে বলেন, ‘দেশের গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং এলএনজি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ঘাটতি বেড়েছে। পরিস্থিতি উন্নতির সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েকটি গ্যাসকূপের ওয়ার্কওভার (সংস্কার) শেষ হওয়ার পথে। সেগুলোতে উৎপাদন শুরু হলে এবং উৎপাদন বাড়লে সংকট কমবে। সামিটের এলএনজি ফের চালু হলেও সরবরাহ বাড়বে। এক্ষেত্রে এই খাতে সরকারের ভর্তু?কি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে এই সেক্টরে ভর্তুকি বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করছেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।’
তিতাস গ্যাস গাজীপুর জোনের উপ-ব্যবস্থাপক মির্জা নেওয়াজ লতিফ জানান, ‘এই সমস্যা গত এক মাস ধরে চলছে। তবে সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আরও ২০-২৫ দিন লাগতে পারে। বাংলাদেশ এলএনজি আমদানির জন্য দুটি জাহাজ ভাড়া নিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে একটি জাহাজে সম্প্রতি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এ কারণে গ্যাসে ঘাটতি হচ্ছে এবং ব্যবহারকারীরা চাহিদামাফিক গ্যাস পাচ্ছেন না।’
সূত্র জানায়, পাইপলাইনে গ্যাসের চাপ না থাকায় গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতাও এক-তৃতীয়াংশে নেমে গেছে। এর ফলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে না শিল্প, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসহ শহর-গ্রামের নাগরিকরা। কিছুক্ষণ পরপর ট্রিপ করছে বিদ্যুৎ। উৎপাদনের চাকা ধীর ও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা। পরিবহণ খাতে রেশনিং করে সিএনজি সরবরাহ করায় বেড়ে গেছে যাতায়াতের খরচ। হ্রাস পেয়েছে কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সার উৎপাদনও। শুধু শিল্পাঞ্চলই নয়, দেশব্যাপী বাসাবাড়িতেও গ্যাস সংকটে চুলা জ্বলছে না।
এদিকে সরেজমিন তথ্যানুসন্ধান করে যুগান্তরের স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, গ্যাসের পর্যাপ্ত চাপ না থাকায় ঢাকা মহানগর, সাভার, গাজীপুর, সফিপুর, কোনাবাড়ী, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার বেশিরভাগ শিল্পকারখানা দিনের অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকছে। শিল্পকারখানার মালিক ও কর্মকর্তারা বলছেন, পাইপলাইনে গ্যাসের চাপ ১৫ পিএসআই (প্রেশার পার স্কয়ার ইঞ্চি) থাকার কথা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে আড়াই থেকে ৩ পিএসআই।
সফিপুর, কোনাবাড়ীসহ আশপাশের শিল্পকারখানার মালিকরা জানিয়েছেন, সাধারণত জেনারেটর বা বয়লার চালানোর জন্য পোশাক কারখানাগুলোয় ১৫ পিএসআই চাপের গ্যাস প্রয়োজন। কিন্তু কয়েকদিন ধরে এ চাপ ২-৩ পিএসআইয়ে নেমে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এ চাপে কোনোভাবেই গ্যাসচালিত মেশিন চালানো যাচ্ছে না। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সকালের দিকে। বিকাল থেকে চাপ কিছুটা বাড়লেও তখন কিছুই করার থাকে না। এ এলাকার একাধিক শিল্প-কলকারখানার মালিক টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেছেন, এভাবে কিছুদিন পরপর গ্যাস সংকট তৈরি করে একটি সিন্ডিকেট এই সেক্টরকে কৌশলে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। গ্যাস না থাকায় প্রতিদিন শত শত কোটি টাকার পণ্য উৎপাদনে চরম বিঘ্ন ঘটছে। এভাবে লাভ তো দূরের কথা, রপ্তানিমুখী বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে লোকসানের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের কয়েকজন যুগান্তরকে বলেন, গ্যাস না পেয়ে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ডিজেলের ব্যবহার বাড়ায় কারখানাগুলোয় পণ্যের উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনাবাড়ী, সফিপুর ও সিনাবহ এলাকার কয়েকটি কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৪-৫ দিন ধরে গ্যাস সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। সন্ধ্যার পর সীমিত আকারে কিছু কিছু এলাকায় গ্যাসের চাপ পাওয়া গেলেও সারা দিন থাকে প্রায় শূন্য। এর ফলে কোনো কোনো কারখানার একটি ইউনিট কোনোমতে চালানো সম্ভব হলেও গ্যাসের পর্যাপ্ত চাপ না থাকায় পুরোপুরি উৎপাদনে যাওয়া যাচ্ছে না। ছোট ও মাঝারি মানের অধিকাংশ কারখানাই গ্যাসের অভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
শিল্প মালিকরা বলেছেন, গ্যাসের এই তীব্র ঘাটতি দ্রুত মেটানো না গেলে অর্থনীতি ও বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় মেশিনারিজের ক্ষমতার মাত্র অর্ধেক ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা বলেন, গ্যাসের লো প্রেশারের কারণে মিলগুলো চরম আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এভাবে মিলগুলো বন্ধ থাকলে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
কোনাবাড়ীতে অবস্থিত এ জেড টেক্সটাইলের এক কর্মকর্তা সোমবার যুগান্তরকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ে তার কারখানা প্রতিদিন ১০০ মেট্রিক টন টেক্সটাইল সামগ্রী উৎপাদন করলেও গ্যাসের অভাবে বর্তমানে তা নেমে এসেছে ১০ থেকে ১৫ মেট্রিক টনে। তাও কাজ করা যায় রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত। তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে গ্যাসের চাপ থাকার কথা ৩০ থেকে ৪০ পিএসআই। সেখানে এখন পাওয়া যাচ্ছে ৩ থেকে ৪ পিএসআই। এতে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি টাকার উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্রেতাদের সময়মতো সরবরাহ করতে পারছি না বলে নিজের খরচের কয়েক গুণ বেশি টাকায় পণ্য বিমানে পাঠাতে হচ্ছে। আবার নতুন করে কোনো অর্ডারও নিতে পারছি না।’
সোমবার সফিপুর এলাকায় গ্যাসের অভাবে দিনভর অনেক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল। গাজীপুরের শ্রীপুরে মাধবখোলা এলাকার শিল্পকারখানায় গ্যাসের চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম থাকায় উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেক কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়া সাভারের একটি টেক্সটাইল মিলের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, এই এলাকায় যেখানে গ্যাসের স্বাভাবিক চাপ থাকার কথা ১০ থেকে ১৫ পিএসআই, সোমবার ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তারা পেয়েছেন মাত্র দুই থেকে আড়াই পিএসআই।
জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে দৈনিক ৪৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে ২৫০ থেকে ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। দুই-তিন বছর ধরে দৈনিক ৪১০-৪৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে ৩১০-৩৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছিল। অথচ গত ৯ জানুয়ারি ২৫৬ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। গত ১৮ নভেম্বর সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মুরিং ছিঁড়ে যায়। এতে দৈনিক প্রায় ৪০-৪৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে কূপ সংস্কারের জন্য প্রতিদিন ৫ কোটি ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে গ্যাসের বিদ্যমান সংকটের তীব্রতা চলতি জানুয়ারিতে কমছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উৎপাদন-বিনিয়োগ যে হারে বেড়েছে, সেই হারে স্থানীয় উৎপাদন বা অন্য দেশ থেকে আমদানি করায় দেশে গ্যাসের প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুত কমে এখন প্রায় ১০ টিসিএফে ঠেকেছে। এলএনজি আমদানি শুরুর পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে মনে করা হলেও তা হয়নি। গত দুই-তিন বছর ধরে চাহিদার চেয়ে জোগানের ঘাটতি ৮০-১০০ কোটি ঘনফুটের সঙ্গে শিল্প ও বিদ্যুৎ খাত নিরুপায় হয়ে মানিয়ে নিলেও এখনকার প্রায় ১৮০-১৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের সংকটে বিপাকে পড়েছেন দেশবাসী। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় গত জুন মাস থেকে এলএনজি আমদানি কম হচ্ছে। দেশীয় গ্যাসের উৎপাদনও কমেছে।
আমাদের গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, চাহিদামতো গ্যাসের সরবরাহ না থাকায় এই এলাকার পোশাক ও টেক্সটাইল কারখানায় উৎপাদন কমেছে। এই অবস্থায় মালিক-শ্রমিকদের মাঝেও দেখা গেছে চিন্তার ভাঁজ। কেননা এভাবে চলতে থাকলে কারখানা মালিককে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে। এর ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন অনেক শ্রমিক। অপরদিকে শ্রমিকদের মধ্যে যারা উৎপাদন চুক্তি অর্থাৎ প্রডাকশন রেইটে কাজ করেন, তারা স্বাভাবিকের চেয়ে পারিশ্রমিক কম পাচ্ছেন। নগরীর জয়দেবপুর, ভোগড়া, লক্ষ্মীপুরা, বোর্ডবাজার, কোনাবাড়ী, কাশিমপুরসহ আশপাশের এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে লাইনে গ্যাসের চাপ প্রতি বর্গফুটে ১৫ থেকে নেমে মাত্র ২-৩ পিএসআই-এ চলে এসেছে। এ অবস্থায় সময়মতো কাক্সিক্ষত উৎপাদন করতে না পারায় আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা। এছাড়া বায়ারদের চাহিদামতো শিপমেন্ট সরবরাহ করতে না পারলে বাতিল হয়ে যাবে ক্রয়াদেশ।
এছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষের বাসাবাড়িতেও রয়েছে গ্যাসের চাপ কম। মাঝে মধ্যেই রান্নার চুলায় একেবারে গ্যাস থাকে না। এতে করে আবাসিক এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
গাজীপুর মহানগরীর তুসকা গার্মেন্টসের পরিচালক মো. তারিক হাসান জানান, প্রতিদিন গ্যাসের যে চাহিদা রয়েছে সেখানে পাওয়া যাচ্ছে অনেক কম। আবার কোনো কোনো সময়ে তাও পাওয়া যায় না। সেজন্য তাদের অতিরিক্ত খরচে ডিজেল দিয়ে বয়লার চালাতে হয়। এ সমস্যা তাদের নিত্যদিনের। এতে করে প্রতিষ্ঠানের প্রতি মাসেই অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো প্রতিষ্ঠান চরম ক্ষতির মুখে পড়বে।
এছাড়া নগরীর হামিদ গ্রুপ, ইউরো এশিয়ান, স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড, সাত্তার টেক্সটাইল, বটম গ্যালারি, মোহাম্মদীয়া গ্রুপসহ প্রায় সব কারখানায় রয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট। নগরীর লক্ষ্মীপুরা এলাকায় অবস্থিত স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার জিএম (এডমিন) মো. ফজলুল হক জানান, কারখানায় তীব্র গ্যাস-সংকট রয়েছে। এতে কারখানায় থাকা দুটি বয়লার চালাতে খুবই মুশকিল হচ্ছে। যেখানে তাদের কারখানার প্রতিদিন ১০ হাজার পিস প্যান্ট উৎপাদন করার টার্গেট থাকে, সেখানে গ্যাস সংকটের কারণে মাত্র ৩ থেকে ৪ পিস উৎপাদন করা যায়।
কিন্তু সময়মতো বায়ারদের সরবরাহ করতে শ্রমিকদের ওভারটাইম করাতে হয়। এতে বাড়তি গুনতে হয় তিন থেকে চার লাখ টাকা। আবার গ্যাস সংকটের কারণে ডিজেল দিয়ে ওই বয়লার দুটি চালাতে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। এভাবে প্রতিনিয়ত ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। ভুক্তভোগীরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে ভয়াবহ এই গ্যাস সংকটের আশু সমাধান কামনা করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন