ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন নিতে এসেছিলেন অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী তাহসান খান। তার জামিন শুনানিকালে আদালত বলেন, ‘আপনাদের দেখে যুবসমাজ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আপনাদের অবস্থান বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার।’ এসময় বিজ্ঞাপনের মডেল বা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে সেলিব্রেটিদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে তাহসান খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহিউদ্দিন দেওয়ান।
শুনানিরর শুরুতে তাহসানের পক্ষে তার আইনজীবী আদালতের কাছে জামিন প্রার্থনা করেন। এক পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘সেলিব্রেটিদের দায়িত্ব অনেক বেশি। কিছু কিছু লোক কিন্তু এদের দেখেই পাগলের মতো দৌড়ায়। আপনাদের দেখে যুবসমাজ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আপনাদের অবস্থান বিষয়ে আপনাদের খেয়াল থাকাটা দরকার।’
তবে এই মামলা হওয়ার অনেক আগেই তাহসান ওই প্রতিষ্ঠানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বলে আদালতকে জানান অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। এরপর তাহসানকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামান দেন হাইকোর্ট।
এর আগে ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও সহায়তা করা হয়েছে। আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা, যা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
পরে ওই মামলায় গত ১৩ ডিসেম্বর অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে ৮ সপ্তাহের জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর বিদেশ থেকে ফিরে তাহসান জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান।
প্রসঙ্গত, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে অভিনেতা তাহসান খান শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত ছিলেন। আর রাফিয়াত রশিদ মিথিলা প্রতিষ্ঠানটির ‘ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল’ শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত ছিলেন। আর প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন