আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সরকার বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারকে এ কথা বলেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান মিলার।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসেনি যুক্তরাষ্ট্র। তখন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত ছিলেন রবার্ট মিলার। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তখন বলেছিল, বাংলাদেশ যথাসময়ে ছাড়পত্র ও ভিসা না দেওয়ায় তাদের পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ওই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিদায়ী সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত মিলার বাংলাদেশে তাঁর দায়িত্ব পালনের সময়কে সেরা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত থাকতে চায়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়েও রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। মন্ত্রী জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। ভোটার উপস্থিতিও বেশ ভালো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তাঁরা (পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত) দুই দেশের মধ্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনসহ মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ জোরালো দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি, মানবাধিকার ও আইনের শাসনে গুরুত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটসহ নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন