এক আয়া গর্ভবতী মাকে সিজার করার সময় নবজাতকের কপাল কেটে ৯ সেলাইয়ের ঘটনায় ফরিদপুরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক, দুই পরিচালকসহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নবজাতকের বাবা সফিক খান।
এ ঘটনায় আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকারিয়া ওরফে পলাশ মোল্লা ও মো. আল হেলাল মোল্লা এবং ওই হাসপাতালের আয়া চায়না বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ মামলার আসামি হিসেবে মো. জাকারিয়া ওরফে পলাশ মোল্লা, মো. আল হেলাল ও চায়না বেগমকে গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে জেলার মুখ্য বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত ওই তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
এদিকে ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে এডিএম মো. লিটন আলীকে। অন্য তিন সদস্য হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, সদরের ইউএনও মো. মাসুদুল আলম, সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাতেমা করিম।
ফরিদপুরের এডিএম মো. লিটন আলী বলেন, রোববার কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। ওই ক্লিনিকটি ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ ময়েজউদ্দিন মণ্ডলপাড়া গ্রামের শফিক খানের স্ত্রী রূপা বেগমকে (২০) সন্তান প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালে আনা হয়। সন্তান প্রসবকালে ওই হাসপাতালের আয়া চায়না বেগম সিজার করলে নবজাতকের কপালে কিছু অংশ কেটে গেলে ৯টি সেলাই দেওয়া হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন