আট অন্ধের পরিবারে জন্ম জোনাকীর। নাম জোনাকী হলেও পৃথিবীর আলো দেখেনি মেয়েটি। কারণ সে ছিল জন্ম সূত্রে অন্ধ। কখনো চোখের আলো ফিরে পাবে, তা ছিল কল্পনা। তবে এই কল্পনাই সত্যি হলো। জন্মের ১০ বছর পর পৃথিবী দেখতে পেল মেয়েটি। জোনাকীর বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার উজিলাব গ্রামে।
জানা যায়, জাকির হোসেন ও খাদিজা দম্পতির সংসারে জন্ম নেয় জোনাকী। ছোট্ট মেয়েটিকে বাবার কাছে রেখে সংসার ছেড়ে চলে যান খাদিজা। পরে দাদীর স্নেহে বড় হয় জোনাকী। কিন্তু করোনাকালীন তাদের দিন কাটছিল অতিকষ্টে। এসময় সাহায্যের হাত বাড়ান ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন অনন্ত। জোনাকীর চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন তিনি।
সাদ্দাম হোসেন জানান, এক পরিবারের আট অন্ধের দুর্বিষহ জীবনের খবর পেয়ে এগিয়ে যাই। সেসময় দেখতে পাই জোনাকীকে। মনে হয় সে দেখতে পাবে। সেই আশা থেকেই তার চিকিৎসা শুরু করি। বিভিন্ন ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এরপর রাজধানীর ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউটে তার চিকিৎসা শুরু হয়। ১৭ জানুয়ারি জোনাকীর চোখের অপারেশন হয়। ধীরে ধীরে সে দেখতে শুরু করে।
তিনি আরও জানান, জোনাকী এখন কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায়। সমস্যা হয় দূরে দেখতে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন ধীরে ধীরে দূরেও স্পষ্ট দেখতে পারবে। অল্প দিনের মধ্যেই তার বাঁ চোখে লেন্স বসানো হবে।
এসময় জোনাকীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে সে খুশিতে কাঁদতে থাকে। বলতে থাকে, ‘পৃথিবী এত সুন্দর। আমি এখন পড়তে পারব, স্কুলে যাব।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন