'একটা আঘাত আসলে দশটা আঘাত হবে, একটা গুলি করলে দশটা গুলি হবে'- নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে এমন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার তার একটি বিক্ষুব্ধ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের চেরাগ আলী মোড়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ কে এম আনিছুর রহমান জুয়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন।
তিনি আরো বলেন, আমরা ভেবেছিলাম নৌকার যে প্রকৃত মালিক তাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হবে। কিন্তু বড় দুঃখের বিষয়, যে চেয়ারম্যান গত নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে দীর্ঘ পাঁচটি বছর এ মহাদান ইউনিয়নের মানুষদের অবহেলা করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সেই চোরকেই আবার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আমরা এক এবং অভিন্ন। আমরা আলোচনা করে একজন প্রার্থীকে সিলেক্ট করবো, তার পক্ষেই আপনারা কাজ করবেন। আমি নৌকার বিপক্ষেও না, আওয়ামী লীগের বিপক্ষেও না। কিন্তু আমি আমার ইউনিয়নের চোর চেয়ারম্যানের বিপক্ষে। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো, নৌকার প্রার্থী আমার সাথে নির্বাচন করতে পারবে কিনা এখন সেটাই প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনিছুর রহমান জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আশা করবো দলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ২৬ তারিখের নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে সবাই বিজয়ী করবো।
চতুর্থ ধাপে আজ ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন। মহাদান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ৫ জন। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম আনিসুর রহমান জুয়েলকে গত মঙ্গলবার দলের মনোনয়ন বোর্ড নৌকার মনোনয়ন দেয়।
এ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত আলী, বাঁশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি নাসির উদ্দীন, তাঁতীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম জগলু, আওয়ামী লীগ নেতা মুমিনুল ইসলাম মিন্টু, আব্দুস সামাদ চাঁন প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্ সাংবাদিকদের বলেন, নৌকা আওয়ামী লীগের প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। যারা দলের মধ্যে থেকেও নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেবে, বিদ্রোহী হবে, তারা আওয়ামী লীগের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ভবিষ্যতেও আর আওয়ামী লীগ করতে পারবে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন